বুধবার দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে মহাশিবরাত্রি। ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে এই উৎসব উদযাপিত হয়। এই দিনে শিব এবং পার্বতীর পুজো করেন ভক্তরা। লোকবিশ্বাস, এই দিনে যে ব্যক্তি পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে শিবের পুজো করেন, তিনি মহাদেব এবং পার্বতীর আশীর্বাদ লাভ করেন। শিবের কৃপায় সব ধরণের বস্তুগত আরাম-সুখ লাভ করেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী,মহাশিবরাত্রিতে গ্রহগুলির বিরল মিলন ঘটতে চলেছে। ফলে এই দিনের গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, ১২টি রাশির মধ্যে এমন ৪ রাশি রয়েছে, যার উপর মহাদেবের আশীর্বাদ সর্বদা থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সেই রাশিগুলি কারা-
মেষ রাশি- মেষ রাশির অধিপতি মঙ্গল। ভোলেবাবার কৃপায় সমস্ত আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হয়। চাকরি ও ব্যবসায় অগ্রগতি ঘটে। শুভ কাজে আসা প্রতিটি বাধা দূর করেন। প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন তাঁরা। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর শিবের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে। এই রাশির জাতক-জাতিকারা শিবের আশীর্বাদের কারণে ঝামেলা থেকে মুক্তি পান। প্রতিটি কাজে সাফল্য মেলে। এই রাশির জাতক-জাতিকারা চাকরি এবং ব্যবসায় সাফল্য লাভ করেন।
মকর রাশি- এই রাশির অধিপতি হলেন শনি মহারাজ। শনি হলেন শিবের প্রিয়। শিবের কৃপায় তিনি ন্যায়দাতা হয়েছেন। তাই মকর রাশির জাতক-জাতিকারাও শিবের অত্যন্ত প্রিয়। এই রাশির জাতক-জাতিকারা স্বভাবতই খুব পরিশ্রমী। প্রতিটি কঠিন সময়ে তাঁদের রক্ষা করেন মহাদেব। মহাশিবরাত্রিতে আকস্মিক আর্থিক লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। আপনি যদি নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করেন, তাহলে এই সময়টি আপনার জন্য শুভ হতে পারে। শিবের বিশেষ আশীর্বাদের কারণে জীবন বিলাস-বৈভবে কাটান।
কর্কট রাশি- এই রাশির অধিপতি হলেন চন্দ্রদেব। শিব নিজের মাথায় ধারণ করেন। ভোলেবাবা সর্বদা কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের রক্ষা করেন। তাঁরা খুব সহনশীল হন। কর্কট রাশির জাতক-জাতিকাদের ব্যবসায় অগ্রগতি এবং আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা। কেরিয়ারে নতুন সুযোগও আসতে পারে। আপনি সম্মান এবং খ্যাতি পান।
কুম্ভ রাশি- কুম্ভ রাশির অধিপতিও শনিদেব। কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা স্বভাবতই খুব সৎ। সর্বদা অন্যদের ভালো করেন। এই মহাশিবরাত্রিতে আর্থিক বিষয়ে তিনগুণ লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপনার। পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়া যাবে। চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি সমাধান করা হবে। এই রাশির জাতক জাতিকারা শিবের আশীর্বাদে চাকরি এবং ব্যবসায় ভালো লাভ করেন।