মহাশিবরাত্রির দিনটি ধার্মিক দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বাস করা হয় যে এইদিন ভগবান শিব ও মা পার্বতী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ফাল্গুন মাসে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি পালন করা হয়। কথিত রয়েছে, মহাশিবরাত্রির দিন মহাদেবের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের আবির্ভাব হয়েছিল। মহাশিবরাত্রিতে রাতে পুজো করা শুভ বলে মনে করা হয়। এইদিন মহাদেবকে কিছু বিশেষ ভোগ অর্পণ করলে শিব ভক্তের ওপর প্রসন্ন হন এবং সর্বদা কৃপা করেন।
মাখানার ক্ষীর
ভগবান শিবকে মহাশিবরাত্রির দিন মাখানার পায়েস ভোগ দিতে পারেন। বিশ্বাস করা হয় যে মহাদেবের সাদা রং খুবই প্রিয়। তাই সাদা রঙের মাখানার ক্ষীরে শিবের জন্য শুকনো মেওয়া দিয়ে প্রস্তুত করতে পারেন।
ঠান্ডাই
মহাশিরাত্রির দিন অবশ্যই ঠান্ডাই ও ভাং তৈরি করবেন। এই দুই পানীয় মহাদেবের খুবই প্রিয় বলে মানা হয়। ঠান্ডাই বা ভাংয়ের মধ্যে যে কোনও একটা ভোগে দেওয়া যেতে পারে।
হালুয়া
মহাশিবরাত্রির দিন ভোগে হালুয়া তৈরি করা যেতে পারে। সুজি বা কুট্টুর আটা ব্যবহার করে এই হালুয়া তৈরি করা যেতে পারে।
মালপোয়া
ভগবান শিবকে অর্পণ করার জন্য মালপোয়া প্রস্তুত করতে পারেন। শিবের খুব প্রিয় ভোগ এই মালপোয়া।
লস্যি
ভগবান শিবকে মহাশিবরাত্রির দিন লস্যির ভোগ দিতে পারেন। মিষ্টি লস্যি তৈরি করুন। একেবারে সাধারণভাবে তৈরি লস্যি ভোগ হিসাবে দিয়ে তা পরে প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করুন।