
Trigrahi Yog 2026: নতুন বছরের শুরুতেই মকর সংক্রান্তি। জ্যোতিষীয় দিক থেকে এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন জ্যোতিষীদের একাংশ। কারণ, এই সময়েই শনি-শাসিত মকর রাশিতে তৈরি হতে চলেছে এক শক্তিশালী ত্রিগ্রহী যোগ। শুক্র, সূর্য ও মঙ্গল, এই তিন গ্রহের একযোগে অবস্থান বদল একাধিক রাশির ভাগ্যে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
জ্যোতিষ মতে, ১৩ জানুয়ারি শুক্রের মকর রাশিতে প্রবেশ দিয়ে শুরু হবে এই গ্রহ-সমাবেশ। তার পরের দিন, অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিনই সূর্য গোচর করবে মকরে। এর ঠিক দু’দিন পর, ১৬ জানুয়ারি মকর রাশিতে প্রবেশ করবে মঙ্গল। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে তিন শক্তিশালী গ্রহের শনি-রাশিতে অবস্থান তৈরি করবে ত্রিগ্রহী যোগ, যা জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে। জ্যোতিষীদের মতে, এই যোগ বিশেষ করে চারটি রাশির জাতকদের জন্য আর্থিক লাভ, উন্নতি ও জীবনে নতুন সুযোগ এনে দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রেই মকর সংক্রান্তি থেকে শুরু হতে পারে তথাকথিত ‘গোল্ডেন টাইম’।
এই ত্রিগ্রহী যোগের প্রভাব সবচেয়ে ইতিবাচক হতে পারে বৃষ রাশির জাতকদের উপর। ভাগ্যের সহায়তায় দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ এগোতে পারে। কর্মক্ষেত্রে নতুন দায়িত্ব মিলতে পারে, যা ভবিষ্যতে লাভজনক হবে। জীবনে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক উন্নতির ইঙ্গিতও মিলছে। জ্যোতিষ মতে, এই সময় বৃষ রাশির জাতকদের দীর্ঘ যাত্রার যোগও রয়েছে, যা কাজ কিংবা ব্যক্তিগত জীবনের কারণে হতে পারে।
ধনু রাশির ক্ষেত্রেও এই ত্রিগ্রহী যোগ শুভ ফল দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিক দিক থেকে আর্থিক লাভের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, যার ফলে অর্থনৈতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি হতে পারে। পেশাগত জীবনে নতুন সুযোগ আসতে পারে, পদোন্নতি বা দায়িত্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না জ্যোতিষীরা। ব্যক্তিগত সম্পর্কেও উন্নতি ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত।
সবচেয়ে বেশি লাভবান হতে পারেন মকর রাশির জাতকরাই। কারণ, এই ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হচ্ছে তাঁদেরই রাশিতে। নতুন চাকরির প্রস্তাব, ব্যবসায় বড়সড় উত্থান, আয় বৃদ্ধির যোগ, সব মিলিয়ে জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বিয়ের যোগও তৈরি হতে পারে বলে মত জ্যোতিষীদের। অনেকের জীবনে এই সময় একেবারে নতুন শুরু হতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২০২৬ সালের মকর সংক্রান্তি শুধু পুণ্যস্নান বা উৎসবের দিন নয়, বহু রাশির জীবনে দিকবদলের সূচনাও হতে পারে। ত্রিগ্রহী যোগের এই প্রভাব কতটা বাস্তবে রূপ নেবে, তা সময়ই বলবে। তবে জ্যোতিষের ভাষায়, এই গ্রহসমাবেশ যে নতুন আশার বার্তা নিয়ে আসছে, তা বলাই বাহুল্য।