জুন মাসের শুরুতেই ঘটতে চলেছে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। গ্রহদের সেনাপতি মঙ্গল ৭ জুন ২০২৫, রাত ১টা ৩৩ মিনিটে সিংহ রাশিতে প্রবেশ করবেন। এই গোচর ২৮ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত স্থায়ী হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মঙ্গলের এই গোচরের সময় তিনি রাহু এবং কেতুর প্রভাবে থাকবেন। এই সংমিশ্রণকে 'অঙ্গারক যোগ' বলা হয়। এই অবস্থায় মঙ্গল মাঝে মাঝে তার প্রচণ্ড রূপও প্রকাশ করতে পারেন।
সিংহ রাশি আগ্রাসী প্রকৃতির রাশি। সেই কারণে মঙ্গলের এই প্রবেশ একটি উগ্র গ্রহের উগ্র রাশিতে প্রবেশকে বোঝায়। এর প্রভাব কেবল চারটি নির্দিষ্ট রাশির উপর নয়, বরং সমাজের পরিস্থিতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এবার দেখে নেওয়া যাক কোন চারটি রাশির উপর এই গোচরের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে এবং তার সহজ সমাধান কী হতে পারে।
মেষ রাশি
মঙ্গল এই সময়ে আপনার পঞ্চম ভাবে অবস্থান করবেন। এই ভাব শিক্ষা, সন্তান এবং প্রেমের সঙ্গে যুক্ত। মঙ্গল এখানে কেতুর সঙ্গে মিলিত হয়ে মনে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখতে অতিরিক্ত চেষ্টা করতে হবে। সন্তান সংক্রান্ত দিক থেকেও কিছুটা উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।
বৃষ রাশি
মঙ্গল আপনার চতুর্থ ভাবে গোচর করবেন। এই ভাব মূলত গৃহ, যানবাহন এবং মায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সময়ে পারিবারিক টানাপোড়েন, জমি-জমা বা গাড়ি নিয়ে বিরোধ, এমনকি হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ঘরের পরিবেশ অশান্ত হতে পারে, তাই ধৈর্য সহকারে চলাই শ্রেয়।
মিথুন রাশি
মঙ্গল আপনার কুণ্ডলীর তৃতীয় ভাবে প্রবেশ করবেন। এই ভাব সাহস, ভাইবোন এবং প্রচেষ্টার প্রতীক। এখানে মঙ্গল ইতিবাচক ফল দিতে পারেন, যদি আপনি সঠিকভাবে নিজের শক্তির ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিযোগিতা এবং কর্মস্থলে ভালো পারফরম্যান্সের সুযোগ তৈরি হবে। প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও সুফল পাওয়া যেতে পারে।
সিংহ রাশি
মঙ্গল এই সময়ে আপনার নিজের রাশিতে প্রবেশ করবেন। এর ফলে আপনি অনেক বেশি উদ্যমী হয়ে উঠবেন। তবে অতিরিক্ত উত্তেজনা ও অহংকার থেকে ক্ষতি হতে পারে। প্রথম ভাবে রাহু ও কেতুর প্রভাবে মঙ্গলের নেতিবাচক দিকও সামনে আসতে পারে। মাথা ব্যথা, জ্বর বা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে সতর্ক থাকা জরুরি।
এই গোচরের সময় ব্যক্তিগত এবং জাতীয় উভয় ক্ষেত্রেই কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। বিশেষত যাঁরা উপরের চারটি রাশির অন্তর্গত, তাঁদের জন্য এই সময়টা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।
দ্রষ্টব্য: রাশি সংক্রান্ত প্রতিবেদন জ্যোতিষ ও লোকমতভিত্তিক। এগুলি সম্পাদকীয় বিশ্লেষণ বা সুপারিশ নয়।