জ্যোতিষশাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে ১২টি রাশি। সংখ্যাতত্ত্বে আবার সংখ্যার গুরুত্ব রয়েছে। প্রতিটি সংখ্যা কোনও না কোনও গ্রহের সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনও ব্যক্তির জন্মতারিখের উপর নির্ভর করে মূলাঙ্ক। যেমন কারও জন্ম তারিখ ১ হলে মূলাঙ্ক হবে ১। আবার কারও জন্মতারিখ ১২ হলে মূলাঙ্ক (১+২) ৩। একইভাবে ৮, ১৭ এবং ২৬ তারিখে জন্মগ্রহণকারী মানুষের মূলাঙ্ক ৮ (৮+০=১+৭=২+৬=৮)। সংখ্যাতত্ত্বে ৮ মূলাঙ্কের অধিপতি শনিদেব। তিনি কর্ম ও ন্যায়ের দেবতা। কথিত আছে যে ৮ মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকাদের প্রতি শনিদেব সদয় হন। যে কারণে ৮ মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা পরিশ্রমের ফল পান। সাফল্যের শিখরে পৌঁছন। তাঁরা জীবনে কখনও কোনও অসুবিধার সম্মুখীন হন না। এই ধরনের মানুষরা অঢেল সম্পদ ও সম্পত্তির মালিক হয়।
৮ মূলাঙ্কের ব্যক্তিদের গুণ- ৮, ১৭ এবং ২৬ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মূলাঙ্ক ৮। এই মূলাঙ্কের মানুষদের ব্যক্তিত্ব খুবই আকর্ষণীয় হয়। এই তারিখে জন্মগ্রহণকারী লোকেরা কঠোর পরিশ্রম করতে পিছপা হন না। তাঁরা নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করতে ইতস্তত করে না। যে কারণে তাঁদের জীবনে কখনও সমস্যায় পড়তে হয় না।
জন্ম তারিখ ৮: যে কোনও মাসের ৮ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের আত্মবিশ্বাসের অভাব হয় না। তাঁরা নিজেদের চিন্তাভাবনা সহজে কারও সঙ্গে শেয়ার করেন না। তাঁদের বোঝা খুব কঠিন। তাঁরা চ্যালেঞ্জকে ভয় পান না। সাফল্য অর্জনের জন্য সম্ভাব্য সব প্রচেষ্টা করেন। তাঁরা কোনও কাজ অসম্পূর্ণ রেখে যান না। তাঁরা জনগণের আস্থা অর্জনে পারদর্শী। কিন্তু আবেগের কারণে তাঁদের মাঝে মাঝে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
জন্ম তারিখ ১৭: যে কোনও মাসের ১৭ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদেরও মূলাঙ্ক ৮। যাঁদের জন্ম ১৭ তারিখ হয়েছে তাঁদের উপরেও শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদ রয়েছে। সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে, তাঁদের চিন্তাভাবনা স্বচ্ছ। তাঁদের কাজের গতি একটু ধীর, তবে তাঁরা কাজের দায়িত্ব নিতে দ্বিধা করেন না। এই ধরনের লোকেরাও ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন।
জন্ম তারিখ ২৬: যে কোনও মাসের ২৬ তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের ধৈর্যের অভাব হয়। তাঁদের জীবনে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ২৬ তারিখ যাঁদের জন্ম তারিখ, তাঁরা অর্থের দিক থেকে খুব ভাগ্যবান হন। খুব ভেবেচিন্তে টাকা খরচ করেন। তাঁদের অর্থ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা খুবই ভালো। এছাড়াও, এই তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা কখনও আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হন না।