জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে যাঁরা একটু চর্চা করেন, তাঁরা মিথুন রাশির স্বভাব-চরিত্র খুব ভাল করেই জানেন। কেউ বলেন, এরা ‘দ্বিচারী’, আবার কেউ বলেন, ‘খামখেয়ালি’। একবার এক নামী ডেটিং অ্যাপে জেমিনি(মিথুন) রাশির মানুষদের প্রায় নিষিদ্ধই করে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রেম করার জন্য মিথুনই সেরা! বলছেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞরা। কেন?
‘No Names’ নামের একটি ডেটিং অ্যাপে সম্প্রতি একটি ফিল্টার চালু করা হয়েছিল। তাতে আগে ভাগেই মিথুন রাশির ইউজারদের বাদ দিয়ে দেওয়া যেত।
অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা কানভ পুরীর কথায়, 'আমরা লক্ষ্য করেছি, মিথুন রাশির ইউজারদের মধ্যে প্রায়শই এক ধরনের অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা থাকে। ফলে মজা করেই এই ফিল্টার চালু করেছিলাম। পরে যদিও সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।'
জনি ডেপ, ডোনাল্ড ট্রাম্প, মেরলিন মনরো- এঁরা সকলেই কিন্তু মিথুন রাশির। আর এঁদের প্রেমজীবন কেমন তা তো জানেনই।
মিথুন হইতে সাবধান?
তবে কি কেউ মিথুন রাশি হলেই তাঁর সঙ্গে প্রেম করাটা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’? মুম্বইয়ের মার্কেটিং প্রফেশনাল তনিষ্কার মতে, 'জেমিনিদের প্রেমে পড়া মানে এই যেন আপনি স্বর্গে, আবার এই যেন দুঃস্বপ্নে!'। একই মত গুরগাঁওয়ের তরুণ ব্যবসায়ী অভিমন্যু রাওয়ের, 'মিথুনরা বিশৃঙ্খলার মধ্যে বাঁচে, এটা ওদের স্বভাব।' এদিকে অভিমন্যুর স্ত্রী-ই কিন্তু মিথুন রাশির জাতিকা। তিনি নিজে বৃশ্চিক। সেটা ব্যাখ্যা করেই বললেন, 'আমার মধ্যে আবেগ আর প্ল্যানিংয়ের গুণটা আছে। ফলে মিথুনের সঙ্গে পুরো বিষয়টি ব্যালেন্স হয়ে যায়।'
মিথুনের সঙ্গে থাকলে কখনও 'বোরড' হবেন না (ছবি: AI)
মিথুন রাশির লোকেরা কী বলছেন?
আমরা মিথুন রাশির বেশ কয়েকজন জাতক-জাতিকার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বললাম।কলকাতার পিআর প্রফেশনাল সুস্মিতা পাকড়াশি বললেন, 'হ্যাঁ, এটা বলতেই পারেন যে আমরা একটু খামখেয়ালি। কিন্তু যখন কাউকে ভালবেসে ফেলি, সেটা একেবারে মনের গভীর থেকেই করি।'
আরও বলেন, 'আমাদের মনের গভীরে অনেকগুলি লেয়ার থাকে। অনেকে বলে আমরাদের মধ্যে একটু দ্বিচারিতা আছে। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হল, আমাদের চিন্তাভাবনা খুব দ্রুত বদলাতে থাকে। আমাদের মস্তিষ্কের গঠনটাই এমন।'
টাইমপাস নয়, সিরিয়াস সম্পর্ক
মিথুনরা বিশ্বাসযোগ্য, খোলা মনের এবং দ্রুত মানিয়ে নিতে পারেন, এমন সঙ্গীই চান। দিল্লির আশনা খান্না বললেন, 'আমার পার্টনার হতে হলে তাঁকে আমার মুড সুইং সামলাতে জানতে হবে।'
Tinder-এর ডেটা বলছে, ২০২৪ সালে পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রাশির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জেমিনি(মিথুন)-ই। একদিকে যখন একটি অ্যাপে তারা প্রায় নিষিদ্ধ, অন্যদিকে তারাই কিন্তু সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত! এটাই বোধহয় মিথুনের আসল পরিচয়— রঙিন, চঞ্চল, কিন্তু মোহময়।