জ্যোতিশ শাস্ত্রে শনিদেবকে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। শনিকে ন্যায়ের দেবতা বলে মনে করা হয়। সব গ্রহদের মধ্যে শনি ধীরে ধীরে গোচর করে। শনি দেড় বছরে এক বার রাশি পরিবর্তন করে। শনির রাশি পরিবর্তন করাতে কিছু রাশির লাভ যেমন হয় তেমনি লোকসানও হয় কিছু রাশির জীবনে। শনিদেব ২০২৪ সালে রাশি পরিবর্তন করবেন না। শনিদেব ২০২৩ সালে গোচর করেছেন। শনিদেবের এই বছর গোচরের ফলে মকর, কুম্ভ, মীন রাশির ওপর শনির সাড়েসাতি এবং কর্কট, বৃশ্চিক রাশির ওপর ঢাইয়া চলছে। শনির সাড়েসাতি ও ঢাইয়ার ফলে ব্যক্তির অনেক ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
শনির অশুভ প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য রোজ এই উপায় করুন
শনির অশুভ প্রভাব থেকে বআঁচার জন্য রোজ হনুমান চল্লিসার পাঠ করা উচিত। হনুমান চল্লিসা পাঠ করার ফলে হনুমানজির বিশেষ কৃপা লাভ হয়ে থাকে। কোনও ব্যক্তির ওপর যদি হনুমানজির কৃপা হয়, তাঁকে জীবনে কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। হনুমানজির ভক্তের ওপর কখনও কোনও খারাপ প্রভাব পড়ে না। ধার্মিক বিশ্বাস অনুসারে, শনিদেব হনুমানজিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁর ভক্তের ওপর শনির ক্রুর নজর পড়বে না। তাই নিয়মিতভাবে হনুমান চল্লিসা পড়া উচিত।
শনিদেব কাদের ওপর ক্রুদ্ধ হন
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যাঁদের কুণ্ডলীতে শনিদেব শুভ অবস্থানে থাকেন, কিংবা শনিদেব যাঁদের কর্মে প্রসন্ন হন, তাঁদের জীবনে সুখ এবং সৌভাগ্যের বর্ষণ করেন শনিদেব। সেই সব মানুষ চাকরি কিংবা ব্যবসায় সাফল্য ও উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারেন। সমাজে সম্মান-প্রতিপত্তিও বাড়ে। অন্যদিকে, যাঁদের কুণ্ড
এইকাজ গুলো করবেন না
একজন গরিব এবং অসহায় মানুষকে সাহায্য করার পরিবর্তে যে-সব মানুষ তাঁদের কষ্ট দেন, সেই সব মানুষদের উপর ক্রুদ্ধ হন শনিদেব। ফলে দীন-দরিদ্রদের অবহেলা করা মানুষদের উপর শনিদেবের কুদৃষ্টি পড়ে। যাঁরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন না কিংবা যাঁরা আলস্যের জন্য নিজেকে পরিষ্কার রাখেন না, তাঁদের উপর ক্রুদ্ধ হন শনিদেব। এমনকী যাঁরা নখ ও চুল লম্বা এবং নোংরা রাখেন, তাঁদের উপরেও শনির কুদৃষ্টি পড়ে।