শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা বলে মনে করা হয়। যদি শনিদেব কারোর ওপর প্রসন্ন হন তবে তাঁর জীবন সুখ-স্বাচ্ছন্দে ভরে যায়। কিন্তু যদি শনিদেবের বাঁকা নজর কারোর ওপর পড়ে তাহলে তাঁর জীবন দুঃখে-কষ্টে ভরে যায়। তাই সবসময় ভেবেচিন্তে কাজ করা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক শনিদেব কেন রেগে যেতে পারেন এবং সেখান থেকে বাঁচার উপায়ই বা কী।
কখন শনিদেবের পুজো করতে হয়
শাস্ত্র অনুযায়ী, শনিদেব পশ্চিম দিশার অধিপতি। অপরদিকে সূর্য পূর্বদিক থেকে উদয় হয়, তাই এরকম পরিস্থিতিতে পূর্বদিকে শনিদেবের পীঠ পড়ে। সেই কারণে শনিদেবের পুজো সূর্যোদয়ের আগে বা সূর্যাস্তের পর করা উচিত। সূর্যাস্তের পরে শনিদেবের পুজো করলে শনিদেব প্রসন্ন হন এবং তাঁর ভক্তদের সুখ ও সমৃদ্ধি প্রদান করেন।
শনি-সূর্য শত্রুতা
আবার শনি ও সূর্যের মধ্যে পিতা-পুত্রের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের মধ্যে শত্রুতার সম্পর্ক রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সূর্যদেবের প্রভাব থাকে। এরকম সময় তাই শনিদেবের পুজো করলে সূর্য দেবতা রেগে যেতে পারেন। এই কারণে সূর্যাস্তের পরেই শনিদেবের পুজো করা উচিত। এতে শনিদেব খুশি হয়ে ভক্তের ওপর কৃপা বর্ষণ করেন।
কোন কোন বিষয়ে শনিদেব রাগ করেন
-শনিবার লোহার জিনিস কিনবেন না, এতে শনিদেব ক্রুদ্ধ হতে পারে।
-শনিবার দিন ভুলেও নুন কিনবেন না। মানা হয় যে শনিবার নুন কিনলে ব্যক্তির ওপর ঋণ বাড়ে। আর্থিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়।
-শনিবার দিন কাঁচি কিনবেন না আর কাউকে উপহারও দেবেন না। কারণ তাহলে ঝগড়া-অশান্তি হতে পারে।
-বড়দের সম্মান যদি না করেন তবে আপনি সহজেই শনিদেবের ক্রোধের মুখে পড়তে পারেন। শুধু শনিবার নয়, যে কোনো সময় বড়দের অপমান করার -কারণে শনির নিষ্ঠুর দৃষ্টির সম্মুখীন হতে হয়।
-পা ঘষে ঘষে যাঁরা হাঁটেন তাঁদের ওপর রাগ করেন শনিদেব। এই ধরনের মানুষের কাজ বিগড়াতে দেখা যায়।
-রান্নাঘরে এঁটো বাসন রাখবেন না। এরকম করলে শনিদেব রুষ্ট হন। এই ধরনের মানুষদের মুশকিল বাড়ায় শনিদেব।