
২০২৬ সালেও শনির নজর থেকে বাঁচা যাবে না। নতুন বছরে শনি রাশি পরিবর্তন না করলেও, নিজের চাল একাধিকবার বদলাবেন। আর এই কারণে মেষ থেকে মীন সব রাশির ওপর শনির ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব দেখা যাবে। ২০২৬ সালে শনির প্রভাব শুধুমাত্র তার গতির ওপর ভিত্তি করবে না বরং কোন পায়ে বড়বাবা হাঁটবে, তার ওপরও নির্ভর করবে। জ্যোতিষে শনির চার ধরনের পা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, রূপো, লোহা, সোনা ও তামা এবং প্রতিটি রাশির জন্য তাদের প্রভাব ভিন্ন। ২০২৬ সালে শনি মীন রাশিতে অবস্থান করবে। এই সময়ে কিছু রাশির জন্য তা শুভ সময় নিয়ে আসবে এবং কিছু রাশির জন্য খারাপ সময় আনবে।
শনির পা আসলে কী
যখন শনি এক রাশি থেকে দ্বিতীয় রাশিতে গোচর করে, তথন চন্দ্রমার অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে শনি পা নির্ধারণ করা হয়। যদি গোচরের সময় শনি চন্দ্রমার দ্বিতীয়, পঞ্চন বা নবম ঘরে থাকে, তাহলে শনি রূপোর পায়ে থাকে। তৃতীয়, সপ্তম বা দশম ঘরে থাকলে তামার পায়ে থাকে। প্রথম, ষষ্ঠ ও একাদশ ঘরে থাকলে শনি সোনার পায়ে থাকে। চতুর্থ, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে থাকলে শনি লোহার পায়ে থাকে।
শনির প্রভাব ২০২৬-এ
-২০২৬ সালে শনি লোহার পায়ে থাকবে সিংহ, ধনু ও মেষ রাশির ওপর। যার ফলে কঠিন পরিশ্রম এবং দায়িত্ব নিতে হতে পারে। এই রাশির জাতকদের ধৈর্য ও অধ্যবসায় বজায় রাখতে হবে।
-শনির সোনার পায়ের প্রভাব থাকবে বৃষ, মীন ও তুলা রাশির ওপর। এই সময় কাজের চাপ বেশি থাকবে। তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে, তাই প্রতিটি পদক্ষেপ সাবধানে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শর্টকাট এড়িয়ে চলুন এবং কর্মক্ষেত্রের রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন।
শনির উপায়
শনির নেতিবাচক প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু সহজ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। শনিবার সর্ষের তেল বা লোহার জিনিস দান করা উপকারী বলে মনে করা হয়। নিয়মিত শনি চালিশা এবং হনুমান চালিশা পাঠ করলে মানসিক শক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া, সোনা বা হলুদ জিনিস দান করলেও শুভ ফল পাওয়া যায়।