জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনি ন্যায়, কর্ম, দায়িত্ব, এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রতীক। শনির গ্রহ পরিবর্তন এবং রাশিচক্রের বিভিন্ন রাশিতে প্রবেশের ফলে জাতকদের উপর বিভিন্ন প্রভাব পড়ে। ২০২৪ সালে, শনি গ্রহ কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করবে। এর ফলে, মকর, কুম্ভ এবং মীন রাশির জাতক জাতিকারা শনির সাড়ে সাতির প্রভাব অনুভব করবেন।
শনির সাড়ে সাতি:
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী শনির সাড়ে সাতি হলে শনিদেব জাতকের জন্ম রাশি থেকে দ্বিতীয়, সপ্তম এবং দ্বাদশ রাশিতে অবস্থান করেন। সাধারণত ৭.৫ বছর শনি সেখানেই স্থায়ী হয়। এই সময়টায় জাতকের জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, বাধা, এবং পরিবর্তন আসে।
মকর (Capricorn) রাশি:
২০২৪ সালে মকর রাশির জাতকদের জন্য শনির সাড়ে সাতির তৃতীয় পর্যায় চলবে। এই সময়ে, জাতকদের কর্মজীবনে কিছু বাধা এবং চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে নতুন দায়িত্ব, পদোন্নতি, বা বদলির সম্ভাবনা থাকতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে কিছু অস্থিরতা এবং পারিবারিক বিবাদ দেখা দিতে পারে।
কুম্ভ (Aquarius) রাশি:
২০২৪ সালে কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য শনির সাড়ে সাতির দ্বিতীয় পর্যায় চলবে। এই সময়ে, জাতকদের স্বাস্থ্য, আর্থিক, এবং পারিবারিক জীবনে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে কিছু বাধা এবং আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে।
মীন (Pisces) রাশি:
২০২৪ সালে মীন রাশির জাতকদের জন্য শনির সাড়ে সাতির প্রথম পর্যায় চলবে। এই সময়ে, জাতকদের কর্মজীবনে কিছু পরিবর্তন এবং নতুন সুযোগ আসতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে কিছু অস্থিরতা এবং মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার:
শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমাতে জাতকরা কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। নিয়মিত শনিবার শনিদেবের পূজা করা, শনির মন্ত্র জপ করা, এবং দান করার মতো প্রতিকার জাতকদের জন্য উপকারী হতে পারে। এছাড়া এই সময়ে সৎ কর্ম, সৎ চিন্তা, কঠোর পরিশ্রম এবং কঠিন সময়েও লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সেটা করলেই, সাড়ে সাতি কাটার আগের কয়েক মাসে হাতেনাতে সুফল দিয়ে যাবেন শনিদেব।
২০২৪ সালে মকর, কুম্ভ এবং মীন রাশির জাতকদের জন্য শনির সাড়ে সাতি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হবে। এই সময়ে জাতকদের জীবনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তন আসতে পারে। জাতকদের ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতির মোকাবেলা করা এবং প্রয়োজনে জ্যোতিষীর পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই সময়ে মিথ্যাচার, আশাহত হওয়া এবং হিংসার আশ্রয় নিলে উল্টে আরও কঠিন সময় আসতে পারে। বরং এটিকে আপনার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলে ধরাটাই শ্রেয়।