
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনির সাড়েসাতি ৩টি ধাপে ঘটে। যার মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে সবচেয়ে বেদনাদায়ক বলে বিবেচিত হয়। শনির গোচরের সময়ে যে রাশিতে প্রবেশ করে তার উপর শনির প্রভাব সবচেয়ে গভীর। সাড়েসাতিকে জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলির মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি একজন ব্যক্তির ধৈর্য, কর্ম এবংমানসিক শক্তির পরীক্ষা নেয়। শনি সেই নির্দিষ্ট রাশির জাতকদের কর্মের উপর ভিত্তি করে শুভ বা অশুভ ফল প্রদান করে।
২০২৬ সাল মীন রাশির জন্য সাড়েসাতির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পর্যায় হবে। এই সময়ে কেরিয়ার সম্পর্কিত সমস্যা, স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব এবং আর্থিক চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মীন রাশির জাতকদের কাজ, স্বাস্থ্য এবং আর্থিক, এই ৩টি ক্ষেত্রেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। উল্লেখ্য, মীন রাশির জন্য শনির সাড়েসাতি ২৯ এপ্রিল ২০২২ সালে শুরু হয়েছিল। যার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছিল ২৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে এবং ৩ জুন ২০২৭ পর্যন্ত চলবে। তবে মীন রাশির জন্য শনির সাড়েসাতি ৮ অগাস্ট ২০২৯ তারিখে শেষ হবে। যখন শনি মেষ রাশিতে প্রবেশ করবে।
মীন রাশির জাতককা ২০২৬ সালে সবচেয়ে বেদনাদায়ক সময়ের সম্মুখীন হবেন।
নতুন বছরে মীন রাশির জাতক শনির সাড়েসাতির সবচেয়ে কঠিন সময়ের সম্মুখীন হবেন। যার ফলে তাদের অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কাজে বাধা আসবে এবং অনেক কাজ সময়মতো সম্পন্ন হবে না। পরিশ্রম করতে হবে কিন্তু ফলাফল অনুকূল না-ও হতে পারে। যার ফলে হতাশা বাড়তে পারে। এই সময়ে ধৈর্য এবং সংযম বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কথোপকথনে কঠোর কথাবার্তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই মনোরম সুর বজায় রাখতে হবে কথায়। কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। অফিসের রাজনীতি মানসিক চাপ বাড়াতে পারে। কেউ কেউ চাকরি পরিবর্তনের কথা ভাবতে পারেন কিন্তু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।
সাড়েসাতির সময়ে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
ধৈর্য এবং সংযম বজায় রাখুন। তাড়াহুড়ো, রাগ বা আবেগের বশে নেওয়া সিদ্ধান্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। যে কোনও কিছু করার আগে ভাল করে ভাবুন।
কথাবার্তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রুঢ় বা কর্কশ শব্দ সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। বাড়িতে এবং কর্মক্ষেত্র, উভয় স্থানেই ভদ্র ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
শনি ফলদাতা। ভুল পথ, শর্টকাট বা অনৈতিক অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।
খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়তে পারে তাই একটি বাজেট তৈরি করুন এবং টাকা ধার দেওয়া বা ধার করা এড়িয়ে চলুন।
সাড়েসাতির কী প্রতিকার?
প্রতি শনিবার নিয়মিত 'ওঁ শন শনৈশ্চর্যায় নমঃ' জপ করুন। এছাড়াও ভগবান শনিদেবের উপাসনা করুন। এছাড়াও প্রতি শনিবার একটি সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালান এবং কালো পোশাক দান করুন।