ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে মহাশিবরাত্রি উৎসব উদযাপিত হয়। চলতি বছর মহাশিবরাত্রি ২৬ মার্চ। লোকবিশ্বাস, এই দিনে শিবের পুজো এবং রুদ্রাভিষেক করলে সমস্ত ইচ্ছা পূরণ হয়। শিবের কৃপায় ভক্তদের সমস্ত সমস্যার অবসান হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, শিবের প্রিয় ৪ রাশি। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের উপর থাকে মহাদেবের আশীর্বাদ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন রাশির উপর থাকে ভোলেনাথের কৃপা।
মেষ রাশি- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, মেষ রাশির অধিপতি গ্রহ হল মঙ্গল। মঙ্গলকে শিবের অবতার বলে মনে করা হয়। কথিত আছে যে একবার যখন মহাদেব অসুরদের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন, তখন তাঁর ঘামের এক ফোঁটা মাটিতে পড়েছিল। যেখান থেকে জন্ম হয় মঙ্গলদেবের। মেষ রাশির জাতক-জাতিকারা মহাশিবরাত্রির শিবের পুজো করলে ফল লাভ করবেন। জীবনের সমস্ত ঝামেলা এবং বাধার অবসান ঘটবে। এবার মহাশিবরাত্রিতে গঙ্গাজল এবং দুধ দিয়ে শিবের অভিষেক করলে কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য আসতে পারে।
বৃশ্চিক রাশি- জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, বৃশ্চিক রাশির অধিপতিও হলেন মঙ্গল। এই রাশির জাতকরা শিবের বিশেষ আশীর্বাদ পান। বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা মহাশিবরাত্রির দিনে রুদ্রাভিষেক করলে সমস্ত বাধা দূর হবে। আপনি ভয় থেকে মুক্তি পাবেন।
মকর রাশি- বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, মকর রাশি হলেন শিবের প্রিয়। এই রাশির অধিপতি হলেন শনিদেব। শিবের প্রিয় শনি। মকর রাশির জাতক-জাতিকারা তাই শিবের কাছ থেকেও বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করেন। এই রাশির জাতক-জাতিকাদের প্রতি করুণাময় মহাদেব। মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে মকর রাশির জাতক-জাতিকাদের গঙ্গাজল, বেলপাতা এবং গরুর দুধ দিয়ে শিবলিঙ্গের অভিষেক করা উচিত। সকল ঝামেলা দূর হবে। কাজে সাফল্য আসবে।
কুম্ভ রাশি- কুম্ভ রাশিরও অধিপতি হলেন শনিদেব। এই রাশির জাতক-জাতিকারা শিবের বিশেষ আশীর্বাদে পান। তাঁরা শিবের উপাসনা করে সহজেই তাঁকে সন্তুষ্ট করতে পারেন। মহাশিবরাত্রির দিনে কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের শিবলিঙ্গে জল অর্পণ করা উচিত। এই দিনে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করা উচিত। মহাশিবরাত্রিতে দান করলে অনেক গুণ বেশি পুণ্যের ফল মেলে।