আমরা প্রত্যেকেই চাই আমাদের সাফল্যের কাহিনি কর্মের মাধ্যমে লিখতে। কিন্তু সব সময় কর্মের উপর সব কিছু নির্ভর করে না। তা হলে অভিধানে দৈব দুর্বিপাক নামক শব্দপংক্তির অস্তিত্ব থাকত না। পুরু, বাংলার নবাব সিরাজ থেকে দানবীর কর্ণ, চাঁদ সদাগর ইতিহাস এবং পৌরাণিক কাহিনিতে এমন চরিত্রের ভুরি ভুরি উদাহরণ মিলবে।
কখনও ভেবে দেখেছেন, পরাক্রম, পৌরুষ, সাহস, অর্থবল - সব থাকা সত্ত্বেও এঁরা কেন ভাগ্য বিড়ম্বিত! উত্তর হয়তো জ্যোতিষে লুকিয়ে রয়েছে। কিছু রাশির মানুষ রয়েছেন যাঁরা শুধুমাত্র কর্মের জোরে সাফল্য লাভ করা থেকে বঞ্চিত হন। কারণ ভাগ্য আসল সময়ে এঁদের সঙ্গ ত্যাগ করে। জ্যোতিষে এরাই সবচেয়ে আনলাকি রাশি (Most Unlucky Zodiac Signs) হিসাবে আখ্যা পেয়েছে। দেখে নিন কোন কোন রাশি রয়েছে এই তালিকায়।
কন্যা VIRGO
এঁরা ভীষণ কনট্রোল ফ্রিক হন। অর্থাৎ এঁরা চান যাতে সব কিছু এঁদের নিয়ন্ত্রে থাকে। আগে থেকে তাই যে কোনও কাজের প্ল্যানিং করেন। এ পর্যন্ত সব ঠিক আছে। কিন্তু কোনও রকম অল্টারেশন বা পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তন এঁদের চরিত্রে নেই। সম্ভবত সে কারণেই যেটুকু লাক তাঁদের দিকে আসে, তাঁরা সেটাকেও পরিবর্তন হিসাবে গ্রহণ করতে ভয় পান। অনেক ক্ষেত্রেই এঁরা আনলাকি থেকে যান ে কারণে।
বৃশ্চিক SCORPIO
জ্যোতিষ অনুযায়ী বৃশ্চিক রাশির জাতকরা জীবনের বহু ক্ষেত্রে ভাগ্যের সঙ্গে পান না। এতে এক দিক থেকে যেমন তাঁদের চারিত্রিক ভাবে শক্ত করে তোলে। চেষ্টা করে যাওযা এঁদের অন্যতম বৈশিষ্ট। এঁরা সহজে হার মামতে জানেন না।
মকর CAPRICORN
বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী। এঁদের ভাবটাও এ রকম। কারণ এঁরা সব কিছু জন্য ভাগ্যকে না দুষে কাজের প্রতি ফোকাস ধরে রাখতে পছন্দ করেন। জ্যোতিষ অনুযায়ী এঁরা অন্যতম কর্মঠ রাশি। সে দিক থেকে দেখলে এঁদের কাজই এঁদের ভাগ্য তৈরি করে। কিন্তু এটাও সত্যি সে জীবনে এঁদের কাছে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো পরিস্থিতি খুব কমই আসে।
কর্কট CANCER
এঁরা ভীষণ খুঁতখুঁতে। সব কিছুর মধ্যে খারাপ খুঁজতে চেষ্টা করেন। নিজেদের কমফোর্ট ঝোন ছেড়ে বেরতে এঁদের ভীষণ অনীহা। এই দুটোই তাঁদের আনলাকি হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এঁরা নিজেদের পরিবর্তন করতে এতটাই নারাজ যে জীবনের শ্রেষ্ঠ সুযোগ এঁদের সামনে থেকে চলে গেলেও তার জন্য সামান্য পদক্ষেপ বাড়াতে চান না। এটাও তাঁদের ভাগ্য বিড়ম্বিত হওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়।
কুম্ভ AQUARIUS
এঁদের প্রধান সমস্যা এঁরা এক জায়গায় বেশি টিকে থাকতে পছন্দ করেন না। যখনই সৌভাগ্যের হাতছানি আসে এঁদের মন তত দিনে অন্য কোথাও অন্য কোনও খানে পৌঁছে যায়। কন্যা এবং কর্কটের মতো পরিবর্তন নিয়ে এঁদের ছুৎমার্গ নেই। তবে অতিরিক্ত পরিবর্তনও ভাগ্যের পক্ষে নিরাশাব্যঞ্জক হয়ে ওঠে। সে কারণেই এঁরা একটু নিরাশাবাদীও হন।