হিন্দু ধর্মে মঙ্গলবারের দিনটিকে হনুমানজিকে সমর্পণ করা হয়েছে। এইদিন বিধি-বিধানের সঙ্গে হনুমানজির পুজো করলে বজরংবলী খুব শীঘ্রই প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের ওপর অনেক কৃপা বর্ষণ করেন। বলা হয়ে থাকে যে, যদি হনুমানজি প্রসন্ন হন তবে ব্যক্তির জীবনে আসা সব সমস্যা দূরে চলে যায়। যদি কেউ তাঁর চাকরি নিয়ে সমস্যায় থাকেন অথবা ধন-সম্পদ নিয়ে অশান্তিতে থাকেন তাহলে মঙ্গলবারের দিন এই উপায়গুলি করলে সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি কী কী।
চাকরি নিয়ে সমস্যা
আপনি যদি চাকরি নিয়ে চিন্তিত হন, চাকরি না পান বা বারবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হন, তাহলে হতাশ হওয়ার দরকার নেই। মঙ্গলবার হনুমানজির পুজো করুন। এই দিন হনুমানজির মন্দিরে যান এবং তাঁর সামনে জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালান। এর সঙ্গে সেখানে বসে হনুমান চাল্লিসা পাঠ করুন। এই প্রতিকার করলে ব্যক্তির কর্মসংস্থানের পথ খুলে যায়।
সুখ-সমৃদ্ধি পেতে
ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি নিয়ে আসার জন্য, ঝগড়া-বিবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার ও শনিবার করে হনুমান মন্দিরে গিয়ে বজরংবলীর পুজো করুন। হনুমানজিকে ২১ মঙ্গলবার গুড়-ছোলা অর্পণ করুন। ২১তম মঙ্গলবার হনুমানজিকে চোলা চড়ান। এই উপায় নিয়মিতভাবে ও শ্রদ্ধা সহকারে করলে বাড়িতে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।
শত্রুর ওপর বিজয় পেতে
কর্মক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে শত্রুদের দ্বারা সমস্যা সমাধানে ব্যক্তিকে মঙ্গলবার সকালে স্নানের পরে হনুমান মন্দিরে যাওয়া উচিত। পূর্ণ ভক্তি সহকারে বজরংবান পাঠ করুন। ২১ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই প্রতিকার করলে জীবনের সমস্ত শত্রু নাশ হবে।
আরও পড়ুন: ৭০০ বছর পর মহাষ্টমী-রামনবমীতে বিরল যোগ, ৬ রাশির সোনায় সোহাগা
গুরুতর অসুখ থেকে রেহাই পেতে
কোনও গুরুতর বা জটিল রোগ থেকে মুক্তি পেতে মঙ্গলবার এক পাত্রে জল নিয়ে সেই জলটিকে হনুমানজির সামনে রেখে দিন। এরপর ওখানে বসেই হনুমান বাহকের পাঠ করুন। পাঠ সম্পূর্ণ হলে এই জলটি গ্রহণ করে নিন। এরপর দ্বিতীয়বার জল রাখুন। এটা টানা ২১ মঙ্গলবার করলে সেই ব্যক্তি রোগ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।