নতুন বিয়ের পর নতুন শ্বশুরবাড়ি কেমন হবে তা নিয়ে মেয়েদের একটা টেনশন সবসময়ই কাজ করে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি যে মানুষটিকে নিয়ে মেয়েরা সমস্যায় পরেন তিনি হলেন শাশুড়ি। শাশুড়ি-পুত্রবধূর মধ্যে ঝামেলা প্রতিটি সংসারেই হয়ে থাকে। কোথাও ছোটখাটো সংঘাত, ব্যক্তিত্বের টানাপোড়েন, আবার কোথাও বড় অশান্তি দেখা দেয় শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে। এই দুজনের মধ্যে গোলমালের রেশ পড়ে পরিবারের অন্যদের মধ্যেও। কিন্তু দেখা গিয়েছে, যে সংসারে শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে পরস্পরের প্রতি আস্থা, ভরসা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থাকে, সেই সংসারে সুখ ও শান্তি বজায় থাকে বরাবর। তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে বাস্তু সমস্যা থাকলে তার কারণে সংসারে অশান্তি দেখা দিতে পারে। তাই জেনে নিন শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে অশান্তি কম হওয়ার সহজ বাস্তু টিপস।
দক্ষিণ-পশ্চিমে শ্বশুর-শাশুড়ির ঘর
বাস্তুমতে বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ির ঘর সব সময় দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত। অপরদিকে, ছেলে-বউয়ের ঘর থাকুক বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে।
মধ্যস্থানে রান্নাঘর নয়
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির মধ্যস্থানে কখনোই রান্নাঘর করা উচিত নয়। যে বাড়ির মধ্যস্থানে রান্নাঘর থাকে, সেই বাড়িতে অশান্তির আগুন কখনও নেভে না। এই বাড়িতে শাশুড়ি ও বউমার ঝামেলা চরম আকার নেয়। বাস্তু অনুসারে রান্নাঘর থাকা উচিত বাড়ির দক্ষিণ-পূর্ব দিকে।
ডাস্টবিন রাখুন এইদিকে
বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে কখনও ডাস্টবিন রাখবেন না। বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। বাড়ির এই দিকে কখনও নোংরা ফেলবেন না। এর ফলে বিভিন্ন সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা বাড়বে।
তুলসী গাছ রাখুন
শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বাড়িতে অবশ্যই তুলসী গাছ রাখা জরুরি। এই তুলসী গাছে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা প্রদীপ জ্বালান। এছাড়া বাড়িতে চাঁপা ও জুঁই ফুলের গাছ লাগালেও বিভিন্ন সম্পর্কের মধ্যে মাধুর্য বজায় থাকে।
ঘরের রং-এর দিকে খেয়াল দিন
বাস্তুমতে শাশুড়ি ও বউমার ঘরের রং কী, সেই বিষয়েও খেয়াল রাখা জরুরি। খুব বেশি উজ্জ্বল রং না লাগিয়ে ঘরের ভেতরে হালকা ও ঠান্ডা রং লাগালে বাড়ির সদস্যদের মন শান্ত থাকে ও সহজে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে না।
রান্নাঘরের রং হাল্কা রাখুন
রান্নাঘরের রং হাল্কা রাখুন। কালো বা গাঢ় রং ব্যবহার করবেন না রান্নাঘরে। এই ধরনের রং তিক্ততা বাড়ায়। যেহেতু মহিলারা রান্নাঘরে বেশি সময় কাটান, তাই সেখানে হাল্কা রং লাগালে তাঁদের মন শান্ত থাকে।