জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, জন্মকুণ্ডলীতে উপস্থিত কিছু যোগ ব্যক্তির জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার কারণে মানুষের জীবনে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। নববর্ষের দিন শনি এবং চন্দ্রের বিশেষ সংমিশ্রণে বিষ যোগ তৈরি হয়েছে, যা বেশকিছু রাশির মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কুম্ভ রাশিতে চন্দ্র ও শনির মিলন বিষ যোগের সৃষ্টি করছে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই যোগ এই তিন রাশির জন্য প্রায় আড়াই মাস ধরে সমস্যা তৈরি করতে চলেছে। চন্দ্র এবং শনির গতিবিধি প্রায় একই রকম। চন্দ্র যে কোনও রাশিতে আড়াই দিন এবং শনি আড়াই বছর অবস্থান করে। এমন পরিস্থিতিতে জেনে নেওয়া যাক রাশিফলের বিষ যোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য কোনও ব্যক্তির কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাশিফলের যে কোনও যোগ গ্রহ ও নক্ষত্রের গতিবিধি দ্বারা গঠিত হয়। শনি কর্কট রাশিতে পুষ্য নক্ষত্রে এবং চন্দ্র মকর রাশিতে শ্রবণ নক্ষত্রে অবস্থান করে। এর সঙ্গে যখন চন্দ্র এবং শনি বিপরীত অবস্থানে থাকে, উভয়ই নিজ নিজ ঘর থেকে একে অপরের দিকে তাকায়, তখন বিষ যোগ গঠিত হয়।
বিষ যোগের প্রভাব (Vish Yog Effects)
কারও জন্মকুণ্ডলীতে বিষ যোগ থাকলে সেই ব্যক্তি কোনও ক্ষেত্রেই ভাগ্যের সমর্থন পান না। এই কারণে অনেকবার তাঁদের কর্ম পরিবর্তন করতে হয়। বিষ যোগ কোনও ব্যক্তির করা কাজ নষ্ট করে দেয়। তাঁদের শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়। এই মানুষগুলো বিষন্নতার শিকার হন। তাদের মৃত্যু, ভয়, দুঃখ, রোগ, দারিদ্র, অলসতা, ঘৃণা ইত্যাদির সম্মুখীন হতে হয়।
বিষ যোগ এড়াতে দারুণ প্রতিকার (Vish Yog Remedy)
১. কুণ্ডলীতে উপস্থিত বিষ যোগের অশুভ প্রভাব দূর করতে শনিবার সরিষার তেলে কালো উড়দ ও কালো তিল রেখে প্রদীপ জ্বালান। শিগগিরই উপকার পাবেন।
২. জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার হনুমান জির পুজো করলে বিষ যোগের অশুভ প্রভাব কমে যায়।
৩. শনিবার নিয়মিত কুয়োতে দুধ নিবেদন করুন। এই প্রতিকার করলে শনিদেবের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
৪. একটি নারকেল নিন এবং উপর থেকে সাত বার আঘাত করুন। অশ্বত্থ গাছের নিচে দাঁড়িয়ে এই কাজ করেন। এরপর প্রসাদ হিসেবে মানুষের মধ্যে নারকেল বিতরণ করুন। এটি করলে মানুষ ব্যক্তি বিষ যোগ থেকে মুক্তি পান।
৫. প্রতি সোমবার ভগবান শিবের রুদ্রাভিষেক করলেও মানুষ বিষ যোগ থেকে মুক্তি পান।