
Pea Peel Recipe: শীত মানেই রান্নাঘরে কড়াইশুঁটির রমরমা। আলুর দম হোক, ফুলকপির তরকারি হোক বা খিচুড়ি। সবকিছুর স্বাদই বাড়িয়ে দেয় এই সবুজ দানা। কিন্তু একটাই ভুল প্রায় সব বাড়িতেই, কড়াইশুঁটি ছাড়ানোর পর খোসা সোজা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া। অথচ পুষ্টিগুণের দিক থেকে এই খোসা কোনও অংশে শুঁটির দানার চেয়ে কম নয়। ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, আয়রন, ফোলেট এবং ম্যাগনেশিয়াম, সবই রয়েছে কড়াইশুঁটির খোসায়। আর সবচেয়ে মজার বিষয়, এই খোসা দিয়ে তৈরি করা যায় দুর্দান্ত সব পদ।
নিচে রইল তিনটি সহজ, ঘরোয়া ও অনন্য রেসিপি, যা জেনে নিলে আর কখনও শুঁটির খোসা ফেলে দিতে মন চাইবে না।
১) কড়াইশুঁটির খোসা বাটা, গরম ভাতের সঙ্গে অবিশ্বাস্য সুস্বাদু
প্রথমে সর্ষে, পোস্ত আর কাঁচা লংকা একসঙ্গে ভালো করে বেটে নিন। পরে একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে দিন কালোজিরে ও কাঁচা লংকার ফোড়ন। এবার বাটা করা শুঁটির খোসা কড়াইয়ে দিয়ে নুন-হলুদ মিশিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। ঢেকে কিছুক্ষণ রেখে সেদ্ধ হতে দিন।
সেদ্ধ হলে ওপর থেকে দিন সামান্য লাল লংকাগুঁড়ো, পোস্ত-সর্ষের বাটা, সামান্য চিনি ও নুন। শেষে ছড়িয়ে দিন সর্ষের তেল আর ধনেপাতাকুচি। গরম ভাতের সঙ্গে এই বাটা যে কী স্বাদ, না খেলে বোঝা যাবে না!
২) কড়াইশুঁটির খোসার স্যুপ, শীতের সন্ধ্যায় দুর্ধর্ষ
একটি কুকারে সামান্য তেলে ভেজে নিন রসুনকুচি, পেঁয়াজকুচি ও কাঁচা লংকা। তারপর দিন শুঁটির খোসা ও অল্প কিছু শুঁটির দানা। ভালো করে নাড়াচাড়া করে দিন জল ও ধনেপাতাকুচি। দু’টো সিটি উঠলে গ্যাস বন্ধ করুন। ঠান্ডা হলে মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে বেটে নিন। এবার কড়াইতে সামান্য মাখন গরম করে মিশ্রণটি ঢেলে নুন, গোলমরিচ ও লেবুর রস মেশান। তৈরি হয়ে গেল হৃদয় জুড়ানো খোসার স্যুপ।
৩) কড়াইশুঁটির খোসার চিপস, চা-নাস্তায় মচমচে
প্রথমে খোসাগুলো সামান্য নুন দিয়ে ভাপিয়ে নিন। তারপর কাপড়ে রেখে পুরো জল শুকিয়ে ফেলুন। একটি বাটিতে খোসা নিয়ে দিন চালের গুঁড়ো, বেসন, হলুদ, নুন, লংকাগুঁড়ো, রসুনবাটা ও ধনেপাতাবাটা। অল্প অল্প জল দিয়ে শুকনোভাবে মেখে নিন। এবার ডুবো তেলে ভেজে নিন যতক্ষণ না মচমচে হচ্ছে। শেষে চাটমশলা ছড়িয়ে দিন। একদম মার্কেট-স্টাইল ক্রাঞ্চি চিপস তৈরি।