অভাবের কারণে একসময় আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ের বসন্ত পঞ্চমীতে ঝাড়খণ্ড সাক্ষী হল এমনই এক ঘটনার যা তাক লাগিয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। মোট ৫৫ জন দম্পতির বিয়ে হল গণবিবাহ মতেই। দারিদ্রতার কারণে সামাজিক অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়নি, তবে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন একে অপরের সঙ্গে। পরিবার থেকে নাতি-নাতনি নিয়ে সময় কাটানো সেই সকল দম্পতিদের বিয়ে হল বসন্ত পঞ্চমীতে।
গুমলার গণবিবাহ মণ্ডপে বিখ্যাত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বহু বছর ধরে এমন বিয়ের আয়োজন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানের সচিব নিকিতা বলেছিলেন যে ঝাড়খন্ডের গ্রামগুলিতে হাজার হাজার দম্পতি বাস করেন, যাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়নি। আর্থিক অবস্থার কারণে তারা বিবাহ করতে অক্ষম ছিল।
ঝাড়খণ্ডের মানুষের মধ্যে একটি বিশ্বাস রয়েছে যে বিবাহিত দম্পতি সমাজের মানুষকে খাবার না দিলে তাদের বিবাহ গ্রহণযোগ্য হয় না। এই কারণেই সমাজ এই ধরনের বিবাহ গ্রহণ করে না। এই দম্পতিদের সারা জীবন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
এর ফলে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারা কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পায় না। একজন পুরুষের মৃত্যুর পর তার সন্তান ও স্ত্রীর সম্পত্তিতে কোনও অধিকার নেই।
এই গণবিবাহে এমনও হয়েছে যে বাবা ও ছেলে একসঙ্গে বিয়ে করছেন।
এই গণবিবাহের অনুষ্ঠানে একজন এসেছেন যিনি ৬২ বছর বয়সের। তার স্ত্রীর বয়স ৫৬ বছর। ৪০ বছর ধরে রয়েছেন একে অপরের সঙ্গে। ছেলে জানালেন যে অভাবের কারণে তাঁর মা-বাবার বিয়ে হয়নি।
দম্পতি জানালেন তাঁদের অনেক দিনের শখ ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করার। অবশেষে তা পূরণ হল।
সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত বিবাহে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন।