রাতভর লাঠি হাতে মৃত গন্ডারের দেহ পাহারা দিয়ে চোরা শিকারীদের হাত থেকে গন্ডারের খড়্গ বাঁচিয়েছিলেন। চার বছর পর বিশ্ব গন্ডার দিবসে পুরস্কৃত হলেন আমিরুল ইসলাম। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মালঙ্গী বনবস্তির বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম।
২০১৭ সালের সালের এক বর্ষার রাতে মালঙ্গী ও শিসামারা নদীর মাঝে মৃত গন্ডারের দেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল।ঝড়, জল বৃষ্টির রাতে হাতে একটি লাঠি নিয়ে একাই মৃত গন্ডারের দেহটি পাহারা দেওয়া শুরু করে আমিরুল।
একদিকে যেমন চোরাশিকারিদের ভয় অন্যদিকে বন্যপ্রাণীর আক্রমনে যে কোনও মুহূর্তেই আমিরুলের প্রাণ সংশয় হতে পারতো। কিন্তু নিজের দায়িত্বে অবিচল থেকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই শুধু মাত্র একটি লাঠিকে সম্বল করে চোরা শিকারীদের হাত থেকে আমিরুল ইসলাম রক্ষা করেছে মৃত একশৃঙ্গ গন্ডারের খড়্গ।
আমিরুল বলেন রাতে নদীতে মৃত গন্ডারটিকে দেখতে পেয়ে আমি প্রথমে নদীতে নেমে পরিক্ষা করি প্রাণীটি জীবিত না মৃত।প্রাণীটি মৃত বুঝতে পেরে আমার মনে হয় এটা চোরাশিকারিদের কাজ।এবং বন্যপ্রাণীটির খড়্গ চুরি করতেই চোরাশিকারির দল এই কান্ড ঘটিয়েছে বলে আমার ধারণা।আমিরুল বলেন এরপরেই সেই অন্ধকার রাতে হাতে একটি লাঠি নিয়ে আমি মৃত গন্ডারের দেহটি পাহারা দিতে শুরু করি। সারা রাত পাহারা দেবার পর ভোর চারটে নাগাদ বৃষ্টি কমতেই আমি জলদাপাড়া রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার স্বপন মাঝিকে ফোন করে ঘটনার কথা জানাই ৷
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও দীপক এম বলেন শুধুমাত্র বনদপ্তরের একার পক্ষে জঙল পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়।বনবস্তির মানুষ এবং বিভিন্ন এফ,পি,সি কমিটিকে এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।সেদিক থেকে একজন বনবস্তি এলাকার স্থানীয় মানুষ হিসেবে আমিরুল ইসলাম এক বিরল নজীর সৃষ্টি করেছে।একটু দেরিতে হলেও আমরা আমিরুল ইসলামকে পুরস্কৃত করতে পেরে আনন্দ উপভোগ করছি।