Advertisement

স্পেশাল

PHOTOS : কাঁকড়ার হানা কিউবায়, মাঠ-ঘাট-বাড়ি-রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কাঁকড়া

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 27 Mar 2022,
  • Updated 1:50 PM IST
  • 1/10

কিউবা এই মুহূর্তে কাঁকড়ায় আক্রান্ত। দলে দলে কাঁকড়ায় গোটা কিউবা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাস্তায় নামলে কাঁকড়া, বাড়ির দেওয়ালে কাঁকড়া, বাথরুমে কাঁকড়া, মাঠে খেলতে গেলে কাঁকড়া, শপিং মলে কাঁকড়া।
 

  • 2/10

কাঁকড়ায় যে সমস্ত এলাকার মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবিত, তা হলো বে অব পিগস (Bay Of Pigs)। সমস্যা এটা নয় যে কাঁকড়া এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সমস্যা হলো এবার কাঁকড়াগুলি খুব দ্রুত বাইরে বেরিয়ে এসেছে। যেখানে যার প্রস্তুতি করা ছিল না সরকারের কাছে। কাঁকড়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় ছিল করোনাকাল।

  • 3/10

করোনাকালে লোক লকডাউন এর কারণে দু'বছর প্রায় ঘর থেকে বের হননি বললেই চলে। ফলে কাঁকড়াগুলির মতিভ্রম হওয়া শুরু হয়। তারা সময়ের আগেই খোলা এলাকা পেয়ে বিভিন্ন এলাকায় উঠে আসে। চলতি বছরে লকডাউন নেই। বিধিনিষেধও উঠে গিয়েছে। কিন্তু কাঁকড়াদের তা বোঝায় কে? তারা গত বছরের মতো এ বছরও এলাকায় উঠে এসেছেন। এবার তাদের সামলাতে গলদঘর্ম কিউবা সরকার।

  • 4/10

করোনাকালে কোনও রকম বাধা বিপত্তি না পেয়ে মনের সুখে প্রজনন ঘটিয়েছে কাঁকড়াকূল। ফলে তার সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। সাধারণভাবে যে সমস্ত রাস্তায় গাড়ি চলেছে, সেখানে লকডাউনে গাড়ি চলেনি। কাঁকড়া ভেবেছে সে সব এলাকার মানুষ চলে গিয়েছে। তাই সেই সুযোগে তারা অনুপ্রবেশ করেছে এলাকায়। এবার তাদের তাড়াবেন কী করে? সেই চিন্তা মাথায় ঢুকেছে পৃথিবীর চিনির পাত্র-এ।

  • 5/10

বে অব পিগস এর একদিকে সমুদ্র, অন্যদিকে জঙ্গল। এর মাঝখানে জঙ্গল চিরে চলে গিয়েছে রাস্তা। লকডাউনে নির্জন নিশ্চুপ, পরিবেশ, কাঁকড়াদের জন্য অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। বেশিরভাগ সময় কাঁকড়া যখন বাইরে বেরোয় তখন গাড়ি এবং চাকার নিচে এসে মরে যায়। কিন্তু গত দু'বছরে তারা উৎপাত শুরু করেছে। তার পরিণাম সেগুলি আকারে বড় হয়ে গিয়েছে এবং সংখ্যা বেড়েছে।

  • 6/10

একটা গাড়ি পার্কিং লট এর দায়িত্বে থাকা ৪৬ বছর বয়সেও সিকিউরিটি গার্ড অ্যাঞ্জেল জানিয়েছেন যে এই সময়ে ট্রাফিক কম। গত দু'বছরে আরও কম ছিল। পর্যটনে সময় কম থাকে। যার কারণে কাঁকড়াগুলি সাম্রাজ্য গড়তে সুবিধে হয়েছে। খাঁড়ির কিনারায় দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক পর্যটনের জন্য অত্যন্ত সুন্দর। কিন্তু দুবছরে মানুষ নয় শুধুমাত্র কাঁকড়া দেখা যাচ্ছে।

  • 7/10

কিউবার পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞানীরা এগুলো জানিয়েছেন। যে বৈজ্ঞানিকেরা জানার চেষ্টা করছে যে এত তাড়াতাড়ি এরা কেন বাইরে চলে এল? করোনার সময় কী এদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে? অথবা জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে?

  • 8/10

ঠান্ডার সময়ের পরে  যে সমস্ত পর্যটকেরা কিউবাতে বসন্তের আনন্দ নিতে আসেন, তারা এই সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ব্যতিব্যস্ত এবং আতঙ্কিত কাঁকড়ার সাম্রাজ্যে পা রাখতে চাইছেন না। কেউই গাড়ি করে চলে গেলেও নিজের দিকে তাকিয়ে আঁতকে উঠেছেন। অনেকেই যারা এই দৃশ্যের সঙ্গে অভ্যস্ত নন। তাদের কাছে এটি রীতিমতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে বাচ্চারা কাঁকড়া দেখে কান্না জুড়ে দিচ্ছেন। পিলপিল করে পিঁপড়ের মতো কাঁকড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে কিউবা জুড়ে।

  • 9/10

দুই বছর বয়সে ইটালিয়ান পর্যটক ডায়না জানিয়েছেন যে তিনি সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ান। কিন্তু কাঁকড়ার পাল্লায় তিনি শুধু তুমি বাকি এসে পড়েছেন। এদের রং অত্যন্ত বেশি চটকদার, কালারফুল। সেখানে কাঁকড়ার জন্য মানুষের ফিরে আসার গাড়ি চালানোয় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। গাড়ি চালিয়ে কাঁকড়ার দলকে মেরে দিতে মন চায় না। কিন্তু উপায় কী?

 

  • 10/10

কাঁকড়া ভরা রাস্তার ওপরে যখন গাড়ি, বাস এবং অন্যান্য বাহন চলে, তার মৃতদেহ গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে দেখা যায়। রাস্তার উপরে ঝরা পাতার উপর দিয়ে গাড়ি চলার মতো মুচমুচে আওয়াজ বেরোচ্ছিল। কিছু লোক এই কাঁকড়াকে যাতে না হয়, সে কারণে গাড়ির সামনে ঝুলিয়ে রাখেন। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো কাঁকড়ার পচা শবের গন্ধে পুরো এলাকার হাওয়া দূষিত হয়ে পড়ে।

Advertisement
Advertisement