নাসার শীর্ষ এক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তিনি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন। ৯৭ বছর বয়সী ওই বিজ্ঞানী বলেছেন যে আমি আমার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই কথাটি বলতে থাকব যে, আমি লাল গ্রহে পোকামাকড়ের মতো জীবন দেখেছি।
নাসার এই বিজ্ঞানীর নাম গিলবার্ট ভিলেভিন। ওই বিজ্ঞানী বলেছেন যে ৪৫ বছর আগে তিনি নাসার ভাইকিং মার্স প্রোবের পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করেছিলেন। এর উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গলের মাটিতে অণুজীব দ্বারা নির্গত গ্যাসগুলি তদন্ত করা।
তবে গিলবার্ট নাসার সঙ্গে একমত হননি। তিনি জানান, সারা জীবন বিশ্বাস করতে থাকবেন যে, তাঁর তদন্তে কোনও গাফিলতি হয়নি। তিনি লাল গ্রহে জিনের প্রাণের অস্বিত্ব রয়েছে বলে এখনও বিশ্বাস করেন।
গিলবার্ট জানান, আমি আমার কথা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সামনে রেখেছিলাম। কিন্তু কেউ আমার কথা শুনতে কেউ রাজি ছিলেন না। গিলবার্ট ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সে বলেছিলেন যে মঙ্গলে প্রাণের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তখন একাডেমির লোকেরা তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা করেন।
একাডেমিতে বসে থাকা এক দর্শক বলেন, গিলবার্ট আপনি মঙ্গল গ্রহের জীবন নিয়ে কথা বলে নিজেকে অপমান করেছেন। বিজ্ঞানের সম্মান তুমি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছ।
কিন্তু লেভিন তাঁর কথায় এখনও অটল। গিলবার্ট বলেন, তিনি এবং তাঁর দল তদন্তে যা পেয়েছেন, তাঁরা রিপোর্টে সত্যতা লিখেছেন। তার রিপোর্ট ১০০ শতাংশ সঠিক ছিল।
গিলবার্ট বলেন, মঙ্গল গ্রহে হঠাৎ মিথেন হারিয়ে যাওয়ার কারণ দেখায় যে সেখানে মিথেনের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। অর্থাৎ মিথেন তৈরি হচ্ছে এবং হারিয়ে যাচ্ছে।
অনেক গ্রহ বিজ্ঞানী গিলবার্টের এই পয়েন্টের সাথে একমত নন।