দীপাবলি উৎসবে যখন চারপাশ আলোয় সেজে ওঠে তখন অন্য উৎসবে গোটা বিশ্বের নজর কাড়ে নেপাল। কারণ, সে দেশে প্রতি বছর এই সময়টা টানা পাঁচদিন ধরে পালিত হয় কুকুর তিহার।
এমনিতে ভারতের মতোই নেপালেও পালিত হয় আলোর উৎসব দীপাবলি। তবে কুকুর তিহারে সারমেয়র দল পুজিত হয় অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। দীপাবলির সময়টায় পাঁচ দিন ধরে নেপালে চলে কুকুর পুজো।
যদিও নেপালে সব সময়ই কুকুরের কদর ও যত্ন অনেক বেশি করা হয়। তবুও বছরের এই সময়টায় রাস্তার কুকুর হোক বা বাড়ির পোষ্য কুকুর— সবই নিষ্ঠার সঙ্গে পুজিত হয় ভগবান রূপে।
এই উৎসবের সময় দীপাবলির সময়টায় পাঁচ দিন ধরে নেপালের সর্বত্র সারমেয়দের কদর আরও বেড়ে যায়। মানব সভ্যতার শুরু থেকে মানুষের সঙ্গে সারমেয়দের সম্পর্ককে সম্মান জানাতে এই পার্বন পালিত হয়।
কুকুর তিহারে কুকুরদের মালা পরানো হয়, কপালে তিলক কেটে থালা ভরে খাবারও দেওয়া হয়। তারপর প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করা হয় সারমেয়দের। এই কুকুর তিহারে মেতে ওঠে গোটা দেশ।
গতকাল ছিল ‘তিহার’-এর প্রথম দিন। ওই দিন কাক পুজো করা হয় এবং দ্বিতীয় দিন, আজ কুকুর পুজো করা হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন যে রাম, লক্ষ্মণ এবং সীতা যখন তাঁদের ‘বনবাস’ শেষে অযোধ্যায় ফিরে আসেন তখন তাঁদের ফিরে আসার খবর একটি কাক আর একটি কুকুর অযোধ্যায় পৌঁছে দেয়।
এই কাক আর কুকুরের মাধ্যমে আগে থেকেই রাম, লক্ষ্মণ এবং সীতার ফিরে আসার খবর পেয়ে তাঁদের ধুমধাম করে স্বাগত জানাতে পেরেছিল অযোধ্যাবাসীরা। সেই থেকেই নাকি এই রীতি মেনে নিষ্ঠাভরে কাক, কুকুরের পুজো করা হয়।