Advertisement

স্পেশাল

Antarctica-তে Icebergs চুরমার, বহু দেশ তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 27 Mar 2022,
  • Updated 11:41 AM IST
  • 1/11

আন্টার্কটিকার ভবিষ্যতে বড় বিপদের সম্ভাবনা। কারণ এখানে বরফের পাহাড় বা আইসবার্গ সবচেয়ে সুরক্ষিত এবং স্থির মনে করা হয়। পুরনো এলাকাগুলি ৭৮৩.৮ বর্গকিলোমিটার বরফের পাহাড় ভেঙে সমুদ্রে পড়েছে। এই পাহাড় ভারতের দ্বিতীয় বড় শহর বেঙ্গালুরুর আকারের চেয়ে ৪২ বর্গকিলোমিটার বড়। সমস্যা হলো এটা যে এখন এমন কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশা বৈজ্ঞানিকদের ছিল না। এখন তারা ভয় পাচ্ছেন যে এটি ভবিষ্যতে কোনও বিপদ না তৈরি করে ফেলে।

  • 2/11

সবচেয়ে বেশি সমস্যা ও স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো ঘটনা হলো যে বরফের পাহাড় ১৪ মার্চ ২০২২ থেকে ১৬ মার্চ ২০২২ এর মধ্যে ভেঙে পড়েছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে এটি জানা গিয়েছে এই বরফের পাহাড় এর নাম The Glenzer Conger Ice Shelf. পূর্ব আন্টাকর্টিকাতে রয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটার গ্রেসিয়ালজিস্ট পিটার জানিয়েছেন যে The Glenzer Conger Ice Shelf হাজার বছর থেকে সেখানে একইভাবে ছিল। এখন এটি ফের ওই আকৃতিতে জমা হতে পারবে না।

  • 3/11

পিটার জানিয়েছেন যে, এই বিষয়টি সত্যিই, যে গ্লেসিয়ারটি ১৯৭০ এর দশকে হালকা পাতলা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এটা আশঙ্কা ছিল না যে, আচমকা ভেঙে পড়ে যাবে। এই অবিন্যস্ত হয়ে যাওয়ার প্রায় একমাস আগে এখানে খুব দ্রুত বরফ কমে যাচ্ছিল এবং বড় ভারি পাহাড়গুলি আচমকা ভেঙ্গে পড়ে।

  • 4/11

আন্টার্কটিকার দুটি ভাগে বিভক্ত। পূর্ব আন্টার্টিকা এবং পশ্চিম আন্টার্টিকা। দুটি ট্রান্স আন্টার্কটিকার এর রেঞ্জ এটিকে অর্ধেক অংশ ভেঙে দেয়। এটি প্রমাণিত যে পশ্চিমী আন্টার্টিকায় বরফ কমজোর। সেখানকার বরফ খুব দ্রুত গলছে। সেখানে প্রায়ই বরফ ভেঙে পড়ে এবং গলে যায়। কিন্তু এটি পূর্ব আন্টার্টিকাতে অত হয় না।

  • 5/11

পূর্ব আন্টার্টিকা এই পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা এবং শুকনো এলাকা বলে মনে করা হয়। এখান থেকে বরফের পাহাড় ভেঙ্গে যাওয়ার খবর কখনও আসেনি। নিউজ এজেন্সি এপি-র খবর অনুসারে প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটেছে এবং যখন মানব ইতিহাসে কখনো এতো বড় বরফের পাহাড় ভেঙ্গে পড়েনি। এর আগে বেশ কিছু বছর কিছুই হয়নি।

  • 6/11

১৮ মার্চ ২০২২ এ পূর্ব আন্টার্কটিকার Concordia Research Station কনকর্ডিয়া রিসার্চ মহাদেবের পূর্ব কিনারায় তাপমান - ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস নথিভুক্ত করেছিল। যা মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রাওয়ালা দিন ছিল। সামান্য ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি মারাত্মক বিষয়।

  • 7/11

তাপমাত্রা এত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বায়ুমণ্ডলীয় নদীর প্রবাহের কারণে হয়। এটি এমন নদী, যা বায়ুমণ্ডলের গরম এবং ময়েশ্চারওয়ালা হাওয়া বয়ে যায়। যার কারণে পুরো আন্টার্টিকা, এ সময় গরমের কব্জায় রয়েছে। কিছু জায়গায় বৃষ্টিও হয়। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডলীয় নদী প্রবাহ এই ময়েশ্চার শুষে নেয়। কিন্তু এবার পারেনি।

  • 8/11

নাসার প্লানেটারি সাইন্টিস্ট টুইট করে দাবি করেছেন যে এই বায়ুমন্ডলীয় নদীর কারণে  Glenzer Conger Ice Shelf ভেঙে পড়েছে। এটি এবার শুষে নিতে পারেনি। দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এর মধ্যে দ্রুত ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছে।

  • 9/11

ইন্টস্টিটিউট অফ ওসিনোগ্রফির তরফে প্রফেসর হেলেন ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে ১৪ ই মার্চ থেকে ১৬ ই মার্চের মধ্যে ব্যাঙ্গালোর থেকে বড় আকারের বরফের পাহাড় ভেঙ্গে পড়েছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় ভাঙ্গন ধরেছে ১৫ মার্চ। যা  জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে জন্য হতে পারে।

  • 10/11

ইউএস ন্যাশনাল আইস সেন্টারে খবর অনুযায়ী ভেঙে পড়া ৭ মার্চ থেকেই শুরু হয়। যার কারণে একাধিক আইসবার্গের নির্মাণ শুরু হচ্ছিল। যার মধ্যে থেকে একটা বড় আইসবার্গ তৈরি হয়। এটি সি-৩৭ নাম দেওয়া হয়েছে। এটি প্রায় ১৪.৪ কিলোমিটার লম্বা এবং ৫.৬ কিলোমিটার চওড়া। আপাতত বৈজ্ঞানিকরা ঘটনার সঙ্গে আরও কোনও বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন না। কিন্তু এটি সতর্ক করেছেন অপূর্ব আন্টার্টিকায় নতুন বিপদের ট্রেন্ড শুরু হয়ে গিয়েছে।

 

  • 11/11

পিটার জানিয়েছেন যে বরফের পাহাড় আন্টার্কটিকার গ্লেসিয়ারকে গলতে দেওয়া থেকে আটকায়। এই গ্লেসিয়ার পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই গরমকে আটকে দেয়। এটি আসলে ইনসুলেটর এর কাজ করে। যদি পূর্ব আন্টার্কটিকার গ্লেসিয়ার গলতে শুরু করে তাহলে কিছু দশকের মধ্যে সমুদ্রের জল স্তর অত্যন্ত বেড়ে যাবে। যাতে বহু দেশ এবং দ্বীপ জলের তলায় চলে যেতে পারে।

Advertisement
Advertisement