ওড়িশায় আরও এক বার সফল উৎক্ষেপণ করা হল অগ্নি-৩ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের। ১১ বছর ধরে ভারতীয় ধরে সেনা অংশ এই মিসাইল। যা পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম। বুধবার ওড়িশা উপকূলের এপিজে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে রুটিন পরীক্ষা হয় মাঝারি পাল্লার ভূমি-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্রের। একসঙ্গে একাধিক জায়গায় হামলা করার প্রযুক্তি দেওয়া হয়েছে অগ্নি ৩ ক্ষেপণাস্ত্রে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছে ভারতীয় সেনার স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের পরিচালনায় নির্ভুল লক্ষ্যে অগ্নি-৩ আঘাত হেনেছে।
অগ্নি ৩ ক্ষেপণাস্ত্রে অন্যতম বৈশিষ্ট্য তার গতি। পরিধি ৩ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার। অর্থাৎ ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন কমিয়ে বাড়িয়ে পরিধি বাড়ানো বা কমানো যায়। ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার রেঞ্জ থাকায় চিনের বড় অংশ, গোটা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, আরব, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমারের মতো দেশে চলে আসবে। মানে দেশের সুরক্ষার জন্য অগ্নি ৩ অত্যন্ত সময়োপযোগী।
অগ্নি মিসাইল ১৭ মিটার লম্বা, ২ মিটার ব্যাসের ভূমি থেকে ভূমি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ওজন দেড় টন। ৩ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরত্বের কোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। গতি প্রতি ঘণ্টায় ১৮,৫২২ কিলোমিটার। প্রতি সেকেন্ডে গতি ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার। মিসাইল তৈরির খরচ ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার।
এর আগেও ছ’বারের বেশি অগ্নি-৩ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করা হয়েছে। রাতের অন্ধকারেও সফল ভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পেরেছে এই ক্ষেপণাস্ত্র। চিনে বিস্তীর্ণ এলাকা এবং পকিস্তান রয়েছে অগ্নি-৩-এর পাল্লায়। দিল্লি থেকে চিনের রাজধানী বেজিংয়ের দূরত্ব ৩৭৯১ কিলোমিটার। ফলে মিসাইলটি প্রতি সেকেন্ডে ৫-৬ কিলোমিটার গতিতে চললে ১২.৬৩ মিনিটে পৌঁছে বেজিং। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাদ ৬৭৯ কিলোমিটার দূরে। আড়াই মিনিটেই ধ্বংসলীলা চালাতে সক্ষম অগ্নি ৩।
নয়ের দশকে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-র তৈরি অগ্নি সিরিজের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় সেনার হাতে এসেছিল। এই সিরিজের সব চেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-৫। ৫,০০০ কিলোমিটার এর পাল্লা। তার পরীক্ষাও সফল হয়েছে। গত মাসে ওড়িশা উপকূলে নতুন সংস্করণ অগ্নি প্রাইমের পরীক্ষাও সফল হয়। এর পাল্লা ২ হাজার কিলোমিটার। তবে এটি অগ্নি ৩-এর ওজনের প্রায় অর্ধেক।
আরও পড়ুন- এই রক্তের গ্রুপের লোকেদের চিকেন খাওয়া ক্ষতিকর