Advertisement

মেয়ের ইচ্ছেপূরণ! আধুনিক যুগে পালকিতে কন্যা বিদায়

মেয়ের শখ রাখতে সেই পালকিই জোগার করলেন বাবা। জোগাড় হল বেয়ারাও। এর আগে নদীয়াতে বরকে রোলার চালিয়ে বিয়ে করতে আসতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পালকি করে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ফেরার সেই অতীত দৃশ্যই ফের দেখল নদীয়াবাসী।

পালকি করে বরের বাড়ি রওনা দিলেন নববিবাহিতা। পালকি করে বরের বাড়ি রওনা দিলেন নববিবাহিতা।
বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
  • কলকাতা ,
  • 12 Dec 2020,
  • अपडेटेड 3:57 PM IST
  • মেয়ের শখ ছিল পালকি করে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার
  • মেয়ের শখ রাখতে সেই পালকিই জোগার করলেন বাবা
  • পালকি করে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ফেরার সেই অতীত দৃশ্যই ফের দেখল নদীয়াবাসী

মেয়ের বিয়ে বলে কথা! আয়োজনে কমতি রাখতে চায় না কোনও পরিবারই। ছোটো থেকেই মেয়ের আবদার রেখে গিয়েছেন। তাই বিয়ের সময় মেয়ের আরেকটি ইচ্ছেও পূরণ করলেন বাবা। বিয়ের পর মেয়েকে অন্য ঘরে পাঠাতে মন চায় না পরিবারের। কিন্তু রীতি মেনে বিদায় দিতেই হবে। মেয়ের অবশ্য শখ ছিল পালকি করে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার। সেই ইচ্ছা পূরণ করলেন বাবা।
 
পালকির ব্যবহার এখন প্রায় নেই বললেই চলে। আধুনিকতার দৌলতে সব কিছুই দ্রুত পাল্টাচ্ছে। তবে মেয়ের শখ রাখতে সেই পালকিই জোগার করলেন বাবা। জোগাড় হল বেয়ারাও। এর আগে নদীয়াতে বরকে রোলার চালিয়ে বিয়ে করতে আসতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু পালকি করে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি ফেরার সেই অতীত দৃশ্যই ফের দেখল নদীয়াবাসী। নতুন ধুতি গেঞ্জি পরিহিত এবং কোমরে গামছা বেঁধে কাঁধে নববধূকে নিয়ে গেলেন বেয়ারারাই। 

নদীয়ার বগুলা শিলবেড়িয়া অঞ্চলে এমন দৃশ্য বহুকাল দেখেনি কেউই। দিলীপ কুমার সাহা তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য অবশ্য এই পালকির ব্যবস্থা করেছেন নদীয়ার শান্তিপুর থেকে। পালকি দিয়েছেন কল্যাণ পাল। যিনি পেশায় নাট্যকর্মী। সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্যই দীর্ঘ কুড়ি বছর যাবৎ পালকি, রণপা ,মহিলা ঢাকি, ঘোড়া, কুলো নাচের ব্যবস্থা করে আসেন তিনি।

হাল আমলে বিভিন্ন দামি গাড়ির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেরে না ওঠায় পালকি অতীতের ঐতিহ্য হয়েই ছিল। সেই সাবেকিয়ানাকে ফিরিয়ে আনতে এখন অনেকেই এই পালকিকে এক্সক্লুসিভ হিসেবে দেখেন। প্রসঙ্গত, নদীয়াতে সেন রাজাদের রাজধানী নবদ্বীপে একসময় বহু রাজা জমিদারেরা বাস করতেন।

আরও পড়ুন

উৎসব অনুষ্ঠানে জাকজমকের অন্যকে টেক্কা দিতে ফিটন পালকি ঘোড়া হাতি নিয়ে শোভাযাত্রাসহ বর-বউ নিয়ে আসার প্রথা এখানে বহুকালের। শোভাযাত্রায় প্রথমের দিকে ব্যবহৃত হতো মশাল পরবর্তীতে গ্যাস বাতি, বেলোয়ারী ঝাড় বাতি।
আজকের আধুনিক যুগে এসব দৃশ্য দেখা না গেলেও পালকিতে কন্যা বিদায়ের দৃশ্য অনেককেই স্মৃতিমেদুর করে তুলেছে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement