Ganesh Chaturthi 2022: সর্বজনীন পুরুষের গণেশোৎসব। বাংলায় এমন একটাই পুজো হয় বলে দাবি আয়োজকদের। গণেশ পুজোর আয়োজনে রাজ্যের পুরুষ অধিকার কর্মী সংগঠন, অল বেঙ্গল মেনস ফোরাম। যার মাথায় রয়েছেন এক মহিলা। যদিও তিনি নিজের পরিচয় দেন পুরুষ অধিকার কর্মী হিসেবে। পুজোর তোড়জোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
গণেশ পুজো হবে সংগঠনের অফিসের বাইরে। তৈরি হবে মণ্ডপ। আগের বার তা হয়েছিল অফিসে। এ বার তাদের পুজো দ্বিতীয় বছরে পড়ল।
সংগঠন যা বলছে
অল বেঙ্গল মেনস ফোরামের সভানেত্রী নন্দিনী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "গত বছর করেছি। এটার নাম দিয়েছি সর্বজনীন পুরুষ গণেশ উৎসব। দুর্গা কখনই নারীর প্রতীক নয়। দুর্গা একটা শুভ শক্তির প্রতীক। অসুর একটা অশুভ শক্তির প্রতীক। নারী মানে দুর্গা নয়। শুভ এবং অশুভ-এটাই বলতে চাই।"
মিলনক্ষেত্র
গণেশ পুজোটা একটা মিলনক্ষেত্রে হিসেবে দেখেন তাঁরা। যত পুরুষ অধিকার কর্মী রয়েছেন, তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয় পুজোয়। এবার পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে একটু বড়সড় ভাবে। আগে অফিসের মধ্য়ে হয়েছে।। এবার অফিসের বাইরে একটা মণ্ডপ করা হচ্ছে। থাকবে সাংস্কতিক অনুষ্ঠান।
এক-একজন এক-একটা জিনিসের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনের বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। কেউ ফল, কেউ মূর্তির দায়িত্ব নেন। যিনি পুজো করেন, তিনি ওই সংগঠনের সদস্য।
নেওয়া হয় সঙ্কল্প
নন্দিনী বলেন, "সঙ্কল্প নেওয়া হয় অল বেঙ্গল মেনস ফোরামের নামে। যার গোত্র বলা হয় পুরুষ। পুরুষ পরিচালিত পুজো, হ্যাঁ, তা অবশ্যই। তবে তার মাথায় আমি। আমি কিন্তু পুরুষ অধিকার কর্মী।"
তাঁর মতে, বাঙালি নারীবাদী। বাঙালির মধ্যে পুরুষ দেবতার পুজো করার চল বেশি ছিল না। সাধারণত দেবীর পুজো বেশি করে। গণেশের পুজোর চল ছিল সিদ্ধিদতা হিসেবে গদিতে গদিতে। এখন যেটা কয়েক বছর ধরে শুরু হয়েছে, খানিকটা প্রতযোগতার মনোভাব নিয়ে, বড় বড় পুজো করা। আগে পুরুষ দেবতার পুজোর ব্যাপার কম।
তিনি বলেন, "শিবঠাকুরের পুজো মেয়েরা কেন করে বলুন তো? যাতে শিবের মতো বর পাওয়া যায়। জন্মাষ্টমী হল গোপালের পুজো। আমার যেন গোপালের মতো সন্তান হয়, সে জন্য। কিন্তু সত্যিকারের মহকাল, এ জাতীয় যে পুরুষ দেবতা, শক্তপোক্ত, তাঁদের পুজো হয় কি? ব্রক্ষ্মার পুজো কি করি? আমাদের বাংলা নারীবাদী। তেমন করে বীজ বপন করা হয়েছে। মেয়েদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে নারীবিদ্বেষী বলে দেওয়া হয়। এখানে গান-বাজনা-কবিতা সব সেভাবেই তৈরি হয়েছে। "