মার্চ-এপ্রিল মাসে থেকেই এবার গরম নিজের রুদ্র রূপ ধারণ করেছে। এখন এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে চাষাবাদের উপর। আসলে তাপমাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে গম এবং সরষা সময়ের আগেই পেকে গিয়েছে। এখন কৃষকেরা ভীষণ গরমের কারণে গমের দানা পচে যাওয়ার এবং উৎপাদন পড়ে যাওয়ার ভয় তাদের আতঙ্কিত করে রেখেছে।
গমের দানা ভালো হচ্ছে না
কৃষি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে সামান্য তাপমাত্রায় গমের দানা ভালো হবে না। সময়ের আগেই পেকে যায়। কিন্তু যদি তাপমাত্রা বেশি বেড়ে যায়, তাহলে গম ভালোভাবে পাকতে পারে না। ওপরটা পাকা মত হয়ে যায়, ভেতরটা কাঁচা থেকে যায়। আধ পাকা পরিস্থিতিতে এর দানা শক্ত হয়ে যায় এবং এর স্বাদ খারাপ হয়ে যায়।
আগেই গম কাটা হয়েছে
জানিয়ে দেওয়া যাক, রোহতাক ও তার আশপাশের এলাকায় গমের দানা আগেই পাকার কারণে সময়ের আগেই কাটা শুরু হয়ে গিয়েছে। কৃষকরা এবার আবহাওয়ায় ডবল আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। কৃষকদের বক্তব্য জমির ফসল এর প্রভাব পড়েছে। কৃষকেরা মনে করছেন, ডিজেল, সার, বীজ, মজুরি সবকিছু দামি হয়ে গিয়েছে। ফসলের খরচ বেড়ে গিয়েছে। লগ্নির টাকা ঘরে উঠে আসবে কিনা তা নিয়ে তারা চিন্তায় রয়েছেন।
ফসল তিনগুণ কমছে
এখন ফসল গরমের কারণে খুব তাড়াতাড়ি থেকে তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে দানা কম পাকার কারণে উৎপাদনে তার প্রভাব পড়ছে। আগে প্রতি একরে ৪০-৫০ মণ মতো গম হতো। এখন কেবল ১০-১২ মণ গম পাওয়া যাবে। সেখানে এক একরে খরচ অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে। সার, বীজ, তেল সবকিছু দামী হয়ে গিয়েছে। এখন এর এক কেজি সারের দাম ২৫ থেকে ২৬ টাকা হয়ে গিয়েছে। এবার প্রাইভেট ডিলার, সরকারের চেয়ে ভালো দামে কিনছে গম। এই পরিস্থিতির কৃষকেরা প্রাইভেট খদ্দেরদের দিকে বেশি ঝোঁক দেখাচ্ছে।