Advertisement

Immortality Formula Anti Aging Secret Success: ২০৩০ থেকে অমর হতে চলেছে মানুষ? গবেষণায় সাফল্য বিজ্ঞানীদের

Immortality Formula Anti Aging Secret Success: যখনই আমরা অমরত্বের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করি, তখন বিষয়টি কল্পবিজ্ঞানের মত মনে হয়। জন্মেছি যখন মরতে তো হবেই, এটা চিরসত্য হিসেবে আমরা জানি। কিন্তু বৈজ্ঞানিকেরা এ বিষয়টি জানলেও এটিকেই চরম সত্য বলে মেনে নেননি। ইন্টারন্যাশনাল নন প্রফিট অর্গানিজেশন হিউম্যানিটি প্লাস এর বৈজ্ঞানিক ডক্টর জোশ কার্ডিরো দাবি করেছেন যে, কিছু বছর পর আমাদের কাছে অমরত্বের সিক্রেট সামনে চলে আসবে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী ২০৩০ সালে জীবিত লোকেরা নিজেদের আয়ু বাড়াতে পারবেন এবং ২০৪৫ এর পর বৈজ্ঞানিকরা মানুষকে অমর করতে শুরু করে দেবে।

২০৩০ থেকে অমর হতে চলেছে মানুষ? রিভার্স এজিংয়ের গবেষণায় সাফল্য বিজ্ঞানীদের
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 27 Mar 2023,
  • अपडेटेड 2:29 PM IST
  • ২০৩০ থেকে অমর হতে চলেছে মানুষ?
  • রিভার্স এজিংয়ের গবেষণায় সাফল্য বিজ্ঞানীদের
  • হাভার্ড ও বোস্টনের ল্যাবে গবেষণার রিপোর্ট পেশ

Immortality Formula Anti Aging Secret Success: সুকুমার রায়ের হযবরল আমাদের অনেকেরই পড়া। তিনি একটি গল্পে মজার ছলে একটি চরিত্রের মুখে বলিয়েছিলেন, "তোমাদের মতো আমাদের বয়স শুধু বাড়ে না। প্রয়োজন মতো আমরা কমিয়ে নিই।" সেখানে নির্মল আনন্দের সঙ্গে একটা অমরত্বের আকাঙ্খা কোথাও ছিল হয়তা। কিন্তু তা শুধু সুকুমারের গল্পেই সীমাবদ্ধ ছিল না। যুগে যুগে কল্পবিজ্ঞানে বয়স কমানো নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। তবে সবটাই কাল্পনিক। তবে এবার হয়তো সেই কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করার সময় এসেছে।

আরও পড়ুনঃ  'বাদ' দ্রুত ওজন ঝরায়, কিন্তু একটি মারাত্মক ক্ষতিও করছে...

২০৩০ সাল থেকে আয়ু বাড়াতে পারবেন?

যখনই আমরা অমরত্বের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করি, তখন বিষয়টি কল্পবিজ্ঞানের মত মনে হয়। জন্মেছি যখন মরতে তো হবেই, এটা চিরসত্য হিসেবে আমরা জানি। কিন্তু বৈজ্ঞানিকেরা এ বিষয়টি জানলেও এটিকেই চরম সত্য বলে মেনে নেননি। ইন্টারন্যাশনাল নন প্রফিট অর্গানিজেশন হিউম্যানিটি প্লাস এর বৈজ্ঞানিক ডক্টর জোশ কার্ডিরো দাবি করেছেন যে, কিছু বছর পর আমাদের কাছে অমরত্বের সিক্রেট সামনে চলে আসবে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী ২০৩০ সালে জীবিত লোকেরা নিজেদের আয়ু বাড়াতে পারবেন এবং ২০৪৫ এর পর বৈজ্ঞানিকরা মানুষকে অমর করতে শুরু করে দেবে।

ধীরে ধীরে দ্বিগুণ হবে গড় বয়স

এটি কী করে হবে, এর উপরে আপাতত বৈজ্ঞানিকেরা কোনও তথ্য শেয়ার করেননি। কিন্তু এর মধ্যে রোবটিক্স এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এর সাহায্যে আয়ু বাড়তে শুরু করবে এবং এক সময়ে এমন আসবে, যখন মানুষ যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকতে পারবেন। চিকিৎসক কার্ডিরোর উপরে একটি বিতর্ক পেশ করেছেন। তিনি বলেন যে, গড় বয়স আগে কম ছিল। কিন্তু এখন সেটি বেড়ে গিয়েছে। ১৮৮১ সালের কাছে ভারতের গড় বয়স ছিল ২৫.৪ বছর। সেখানে ২০১৯-এ সেটি বেড়ে ৬৯.৭ বছর হয়ে গিয়েছে। পরিষ্কার, ১০০ বছরের কাজ কিছু সময়ের মধ্যে ওর বয়স তিন গুণের কাছে বেড়ে গিয়েছে। এই ফর্মুলাতে ডিএনএ এজিং এর রিভার্স এজিংয়ে বদলে দেওয়া যাবে।

Advertisement

রিভার্স এজিংয়ে পাওয়া গিয়েছে সাফল্যের প্রথম পদক্ষেপ

ডঃ কার্ডিরোর দাবির পিছনে হাভার্ড এবং বোস্টনের ল্যাবে হওয়া একটি গবেষণা রয়েছে। যার মধ্যে বৃদ্ধ ইঁদুরের উপরে এই গবেষণা প্রয়োগ করা হয়। যেগুলিকে ফের অল্পবয়সী ইঁদুরে পরিণত করে দেওয়া গেছে। এমনকী বয়সের কারণে কমজোর হয়ে যাওয়া দৃষ্টিশক্তিও ঠিক হয়ে গিয়েছে। হাভার্ড মেডিকেল স্কুল এবং বোস্টন ইউনিভার্সিটির এই জয়েন্ট গবেষণায় বৈজ্ঞানিকেরা বিজ্ঞানভিত্তিক পত্রিকা সেল-এ প্রকাশ হয়েছে। এ বিষয়ে গবেষক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে বয়সের উল্টো প্রসেস করা হয়েছে, যা সম্ভব।

যুবকদের বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধদের যুবক বানানো সম্ভব

বৈজ্ঞানিক জার্নাল সেলে প্রকাশিত এই গবেষণার নাম 'লস অফ এপিজেনেটিক ইনফরমেশন এজ কজ অফ মেমোলিয়ন এজিং' ল্যাবে ইঁদুরের ওপরেই গবেষণা প্রয়োগের পর পরিষ্কার দেখা গিয়েছে যে, পিছনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব এবং বৃদ্ধ ইঁদুরকে যুবকে পরিণত করে দেওয়া গেছে। এই চমকে দেওয়ার মতো গবেষণায় নজরে এসেছে যে বয়স শুধু পেছনে ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব তাই নয়, বরং এটিকে আরও বেশিও করে দেওয়া সম্ভব। অর্থাৎ কোনও বাচ্চাকে এটি প্রয়োগ করলে তাকে বৃদ্ধ করে দেওয়া যেতে পারে।

ডিএনএ-এর উপর করা হচ্ছে ফোকাস

গবেষণার কনসেপ্টে বলা হয়েছে, মানুষের বৃদ্ধ শরীরের কাছে  নিজের যুবক অবস্থা ব্যাকআপ কপি থাকে। এই কপিতে ট্রিগার করে দেওয়া গেলে ফের তা রিজেনেরেট হতে শুরু করবে এবং বয়স পেছনে ফিরতে শুরু করবে। জেনেটিক মিউটেশনের ফলে যাতে ডিএনএ কমজোর শুরু হতে শুরু করে বা কমজোর হয়ে যাওয়া কোষকে সময়ের সঙ্গে কমজোর করে দেয়। প্রায় বছরভর ধরে চলা এই রিসার্চের সময়ে বুড়ো এবং বৃদ্ধ ইঁদুরের ওপর হিউম্যান অ্যাডাল্ট স্কিনের সেল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে কিছুদিনে এটি ফের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়। একইভাবে ব্রেন এবং কিডনি সেলও ইঁদুরের মধ্যে ঢুকিয়ে যুবক অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া গিয়েছে।

আগেই হয়ে গিয়েছে ৩০ বছরের বেশি যুবক হওয়ার দাবি

২০২২ সালের এপ্রিলে একই ধরনের কথাবার্তা কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির বৈজ্ঞানিকরা বলেছিলেন। তাঁদের দাবি আরও পরিষ্কার ছিল যে, এক বিশেষ পদ্ধতিতে তারা বয়সকে ৩০ বছর পেছনে নিয়ে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন। সঙ্গে স্কিনসেলের প্রোগ্রাম করা হয় যাতে ওই ব্যক্তি ৩০ বছর পিছনে পৌঁছতে পারেন। এজিং সেলে এতে কোলাজেন তৈরি করার ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং এটি এই ধরনের প্রোটিন যার মধ্যে শরীর মজবুত এবং যুবকে পরিণত হয়। এটি একটি গবেষণাযর রিপোর্টের একটি অংশ একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। গবেষণার বিষয়ে এর চেয়ে বেশি তথ্য পাবলিক ডোমেনে নেই ।কতজন লোকের উপর করা হয়েছে? সে তথ্য বাইরে প্রকাশ করা হয়নি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement