গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশু শুক্লা এবং গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণান নায়ার হলেন ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যন্ত অভিজ্ঞ টেস্ট পাইলট এবং ISRO-এর গগনযান মিশনের নির্বাচিত মহাকাশচারী। তাঁরা মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার জন্য বর্তমানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁরা Axiom-4 মিশনের অধীনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাবেন। পাঁচ দিন ধরে চলছে তাঁদের প্রশিক্ষণ। Axiom-4 মিশন স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন-৯ রকেট এবং ড্রাগন মহাকাশযানের মাধ্যমে অরবিটিং ল্যাবরেটরি অর্থাৎ মহাকাশে ঘূর্ণায়মান গবেষণাগারে পৌঁছবে। এটি ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে।
এই মহাকাশযানে যাওয়া সব মানুষই স্পেস স্টেশনে অন্তত ১৪ দিন কাটাবেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তাঁরা গত দু'মাস ধরে মহাকাশ স্টেশনে আটকে আছেন। তিনি যে স্টারলাইনার ক্যাপসুলটিতে গিয়েছিলেন তাঁতে একটি ত্রুটি রয়েছে। নাসা বলছে, স্টারলাইনার থেকে হিলিয়াম লিক হওয়া বড় কথা নয়। এতে দোষ হল সিলিং। তবে বোয়িং বলেছে যে তারা কীভাবে এবং কেন এই লিক ঘটছে তা খুঁজে বের করছে। যখন মহাকাশযানটি মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছিল তখনই এই ঘটনা ঘটেছে। তারপরে এর পাঁচটি থ্রাস্টার কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তাদের আবার চালু করতে হয়েছিল।
নাসার দাবি, এসব সমস্যা আসলে কোনও সমস্যা নয়। স্টারলাইনার যে কোনও সময় পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারে। তবে মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনার কোনও তাড়া নেই, তাই আমরা ধীরে ধীরে তদন্ত করছি। সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। সুতরাং, মহাকাশ স্টেশনে উপস্থিত সুনীতা উইলিয়ামসের সঙ্গে গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভ্রাংশু শুক্লার দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত সপ্তাহে, ISRO বলেছিল যে তারা মহাকাশ ফ্লাইট চুক্তির অধীনে দুই মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠানোর জন্য Axiom Space-এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। ISRO-এর হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার (HSFC) গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লাকে এই মিশনের প্রধান মিশনের পাইলট বানিয়েছিল। ব্যাকআপ হিসেবে থাকবেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুক্লার সঙ্গে আরও তিনজন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) যাচ্ছেন। এরা হলেন আমেরিকার কমান্ডার পেগি হুইটসন, পোল্যান্ডের ইএসএ থেকে মিশন বিশেষজ্ঞ স্লোভশ উজানস্কি এবং হাঙ্গেরির মিশন বিশেষজ্ঞ টিবর কাপু। শুক্লা তাঁদের সঙ্গে প্রাইম মিশনের পাইলট হিসেবে থাকবেন।
মহাকাশ স্টেশনের আন্তর্জাতিক প্যানেল থেকে সবুজ সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত এই যাত্রা বর্তমানে মুলতুবি রয়েছে। মাল্টিল্যাটারাল ক্রু অপারেশন প্যানেল (MCOP) ফ্লাইটটিকে সবুজ সংকেত দেবে। এটি NASA, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি, রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি, জাপানিজ স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। স্পেস স্টেশনে কে এবং কখন যাবেন তারাই ঠিক করে।