শহরের পুজোর ভিড়ে ঠাকুর দেখতে বেরোলেই যানজট, অপেক্ষা আর লম্বা লাইন যেন অবধারিত। চতুর্থী থেকে মহাষ্টমী, কলকাতার রাস্তায় নামলেই কিলবিল করে ভিড়। ঠিক সেই সময়েই মুশকিল আসান হয়ে ওঠে কলকাতা মেট্রো। মিনিটে মিনিটে ট্রেন, নেই গাড়ির দেরি, ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ, হাওড়া থেকে সল্টলেক, সব জায়গারই জনপ্রিয় মণ্ডপে পৌঁছে যাওয়া যায় খুব সহজে।
এ বার জেনে নেওয়া যাক, কোন স্টেশনে নেমে কোন পুজো মণ্ডপ দেখা যায়-
নোয়াপাড়া থেকে শুরু
নোয়াপাড়া দাদাভাই সঙ্ঘ একেবারেই স্টেশনের সামনেই।
পাশেই গ্রিন পার্ক নেতাজি ইউনাইটেড ক্লাব।
দমদম
দমদম তরুণ সংঘ, দমদম পার্ক ভারতচক্র, দমদম পার্ক যুবকবৃন্দ।
সিঁথির মোড়ের বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব ও দমদম পার্ক সর্বজনীনও ভিড় টানে।
বেলগাছিয়া
টালা প্রত্যয়, টালা বারোয়ারি।
হেঁটে পৌঁছে যাওয়া যায় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবেও।
শ্যামবাজার
হাঁটাপথেই শ্যাম স্কোয়ার, জগৎ মুখার্জি পার্ক, বাগবাজার সর্বজনীন।
শোভাবাজার সুতানুটি
বিখ্যাত শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো দিয়ে শুরু।
কুমোরটুলি পার্ক, আহিরীটোলা সর্বজনীন, কাশী বোস লেন, তেলেঙ্গাবাগান, হাতিবাগান নবীনপল্লি, সিকদার বাগান, সব একসঙ্গে দেখা যায়।
গিরিশ পার্ক
চালতাবাগান, সিমলা ব্যায়াম সমিতি, ৩৭ পল্লি, বিবেকানন্দ স্পোর্টিং, সবই পায়ে হাঁটার দূরত্বে।
মহাত্মা গান্ধী রোড (এমজি রোড)
মহম্মদ আলি পার্ক, কলেজ স্কোয়ার, দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমজমাট।
সেন্ট্রাল
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার, কাপালিটোলা ও লেবুতলা পার্কের পুজো।
উত্তর কলকাতার মণ্ডপ দেখা শেষ হলে মেট্রোয় চেপে দক্ষিণে
নেতাজি ভবন
পদ্মপুকুর বারোয়ারি, ভবানীপুর ৭৫ পল্লি, হরিশ পার্ক, সঙ্ঘশ্রী, সঙ্ঘমিত্র, সবই কাছাকাছি।
যতীন দাস পার্ক
ম্যাডক্স স্কোয়ার, ২৩ পল্লি, বকুলবাগান, আদি বালিগঞ্জ।
কালীঘাট
বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘ, চেতলা অগ্রণী, দেশপ্রিয় পার্ক, বালিগঞ্জ কালচারাল, একডালিয়া এভারগ্রিন, দক্ষিণের সেরা মণ্ডপ এক জায়গায়।
রবীন্দ্র সরোবর
মুদিয়ালি, শিবমন্দির, সুরুচি সঙ্ঘ, দর্শনার্থীদের প্রিয় গন্তব্য।
বেহালা হয়ে বড়িশা ক্লাব, হরিদেবপুর অজেয় সঙ্ঘ, ৪১ পল্লি, সবই একসঙ্গে।
আসল কথা
একদিনে যদি কলকাতার অজস্র বিখ্যাত পুজো দেখতে চান, তবে সেরা ভরসা মেট্রো। যানজট এড়িয়ে, কম সময়ে, নিরাপদে ঘুরে ফেলা যায় উত্তর থেকে দক্ষিণ। ঠাকুর দেখা এবার হোক একেবারে ট্রেন ধরে, এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশন ঘুরতে ঘুরতেই। তবে ইদানিং মেট্রো পরিষেবার যা দশা, পুজোর সময় ঘুরতে বেরিয়ে আনন্দের বদলে ভোগান্তির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।