বছরের দ্বিতীয় ও শেষ চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে আজ, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর। এটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। আকাশে দেখা যাবে রক্তম চাঁদ বা ব্লাড মুন। এই জাগতিক দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হবে ভারতবাসীরও। ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বরে হওয়া এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণে ৮২ মিনিট পর্যন্ত রক্তিম চাঁদ দেখতে পাওয়া যাবে। ভারত, এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে এই দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হবে। বৈজ্ঞানিক দিক দিয়ে এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের গুরুত্ব যেমন রয়েছে তেমনি জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের কাছেও এই চন্দ্রগ্রহণ খুবই বিশেষ। ভারতের অধিকাংশ বাড়িতেই এই চন্দ্রগ্রহণের সূতক কাল মানা হয়ে থাকে। এই সময় জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু জিনিস করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আসুন জেনে নিই সেগুলো কী কী।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় কী করবেন না
১) চন্দ্রগ্রহণ চলাকালীন কোনও খাবার খাবেন না ও জল পান করবেন না।
২) বড় কোনও সিদ্ধান্ত, যেমন কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি, বিয়ের কথাবার্তা বা বড় কোনও বিনিয়োগের কথা, এই সময় এড়িয়ে চলুন।
৩) এই সময় না ঘুমোনোই ভাল, এতে আপনার শক্তির ঘাটতি হবে।
৪) এই গ্রহণ চলাকালীন জল পান করলে তা অশুভ বলে গণ্য করা হয়।
৫) এই সময় কোনও শুভকাজ করবেন না। প্রার্থনা করা, কোনও জ্যোতিষ টোটকা বা মাঙ্গলিক কাজ থেকে বিরত থাকুন।
৬) গর্ভবতী মহিলাদের এই গ্রহণ চলাকালীন সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তীক্ষ্ণ কোনও জিনিস, ছুরি বা কাঁচি নিজেদের আশপাশ থেকে সরিয়ে রাখুন। এই সময় বাইরে যাবেন না।
৭) গ্রহণের সময় কোনও তর্ক-বিতর্কে বা ঝগড়ায় জড়াবেন না। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে।
৮) গ্রহণ চলাকালীন রান্না থেকে বিরত থাকুন।
৯) এই সময় দেব-দেবীর মূর্তি বা পবিত্র জিনিস ছোঁবেন না।
১০) গ্রহণের সময় তুলসী পাতা ছিঁড়বেন না।
কী করবেন এই সময়
১) এই সময় প্রাণায়াম, ভজন-কীর্তন করতে পারেন। গ্রহণের সময় মানসিক ও আবেগের দিক থেকে অনেকে দুর্বল অনুভব করেন, সেই সময় প্রাণায়াম বা ভগবানে নাম স্মরণ করলে মন শান্তি পাবে।
২) অনেকেই মনে করেন, গ্রহণের আগে ও পরে স্নান করলে চন্দ্রগ্রহণের নেতিবাচকতা শরীর ও মন থেকে দূর হয়। তাই অনেকেই এই সময়কালের আগে ও পরে স্নান করেন।
৩) গ্রহণের পর গোটা বাড়ি, ঘরের মন্দিরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করার রেওয়াজ রয়েছে। এতে গ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব দূর হয়।
৪) মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র, হনুমান চালিসা, বজরং বাণ বা চন্দ্রদেবের কোনও মন্ত্র পড়লে আপনি ভেতর থেকে ইতিবাচকতা অনুভব করবেন। ন ও মাথা এই সময় দুটোই শান্ত থাকবে।
৫) গ্রহণের সূতক কাল মেনে সব কাজ করুন। এতে শুভ প্রভাব পড়বে।
৬) অনেক ভারতীয়রাই মনে করেন যে জল ও খাবারে তুলসী পাতা দিতে তাতে গ্রহণের অশুভ প্রভাব পড়ে না। যদিও বৈজ্ঞানিক মতে, তুলসী পাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খাবারকে জীবাণু থেকে রক্ষা করে।