চাঁদে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বরফ রয়েছে। কিন্তু এগুলো ভূপৃষ্ঠের নীচে। এটি খনন করা যেতে পারে। এটি চাঁদে একটি উপনিবেশ তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ইসরো এই তথ্য জানিয়েছে। ISRO-এর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, আইআইটি কানপুর, ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি এবং আইআইটি-আইএসএম ধানবাদের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে চন্দ্রপৃষ্ঠের প্রায় দুই থেকে চার মিটার নীচে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বরফ রয়েছে। আগের হিসাব থেকে পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি তুষার রয়ছে।
বরফের এই ভাণ্ডারটি চাঁদের উভয় মেরুতেই রয়েছে। তাই মাটিতে ড্রিলিং করে বরফ বের করা যায়। যাতে মানুষ ভবিষ্যতে দীর্ঘ সময় চাঁদে বসবাস করতে পারে। বিশ্বের অনেক মহাকাশ সংস্থা এতে উপকৃত হবে।
ইসরোর মতে, চাঁদের উত্তর মেরুতে দক্ষিণ মেরুর তুলনায় দ্বিগুণ বরফ রয়েছে। চাঁদের মেরুতে এই বরফ কোথা থেকে এল এই প্রশ্নের জবাবে ইসরো বলছে এটা ইমব্রিয়ান আমলের ব্যাপার। তখন চাঁদ তৈরি হচ্ছিল। এর অর্থ হল আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপ থেকে নির্গত গ্যাস কয়েক মিলিয়ন বছর ধরে চাঁদের পৃষ্ঠের নীচে বরফ আকারে ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে।
আমেরিকান স্পেসক্রাফ্ট এবং চন্দ্রযান-২-এর ডেটা থেকে গবেষণা করা হয়েছিল
আমেরিকান লুনার রিকনাইসেন্স অরবিটার (LRO) এবং চন্দ্রযান-২ অরবিটার থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে। এলআরও-এর রাডার, লেজার, অপটিক্যাল, নিউট্রন স্পেকট্রোমিটার, আল্ট্রা-ভায়োলেট স্পেকট্রোমিটার এবং থার্মাল রেডিওমিটার থেকে এই ডেটা নেওয়া হয়েছে। যাতে চাঁদে বরফ জলের উৎপত্তি, বিস্তার ও বিতরণ বোঝা যায়।
চন্দ্রযান-২ ইতিমধ্যেই চাঁদের মেরুতে জলের গুপ্তধন আবিষ্কার করেছে
এটা আশ্চর্যজনক যে এই নতুন গবেষণাটি পুরনো গবেষণাকে সমর্থন করে। পূর্ববর্তী একটি গবেষণায়ও, ISRO-এর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার চন্দ্রযান-২-এর ডুয়াল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার এবং পোলারিমেট্রিক রাডার ডেটা ব্যবহার করেছিল। তখনই চাঁদের মেরু গর্তের অভ্যন্তরে বরফের উপস্থিতি প্রকাশ পায়। এই গবেষণাটি ISRO সহ সারা বিশ্বের মহাকাশ সংস্থাগুলিকে তাদের ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানে সাহায্য করবে৷ ISRO বা অন্যান্য মহাকাশ সংস্থাগুলি জল খুঁজে পেতে তাদের মিশন এবং ড্রিলিং মেশিনগুলিকে চাঁদে পাঠাতে পারে।