Advertisement

Nandigram : একসময় নাম ছিল 'গুমগড়', অতীতেও আন্দোলনের সাক্ষী নন্দীগ্রাম

শোনা যায়, নন্দীগ্রাম একসময় 'গুমগড়' নামে পরিচিত ছিল। খ্রীষ্টিয় ষোড়শ শতকে সেই গুমগড় ছিল সমুদ্রের তলায়। ধীরে ধীরে সেখানে চর ও জঙ্গল তৈরি হয়। আর সেই জঙ্গল কেটেই সেখানে বসবাস শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। ওড়িয়া ভাষায় রচিত 'চৌধুরী চরিত' থেকে জানা যায়, গুমগড়ের এক রাজা ছিলেন নন্দীগোপাল রায়চৌধুরী। তাঁরই নামানুসারে এলাকার নাম হয় নন্দীগ্রাম। 

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • নন্দীগ্রাম,
  • 14 Mar 2022,
  • अपडेटेड 9:47 PM IST
  • এক রাজার নামানুসারে নন্দীগ্রামের নামকরণ
  • বেআইনি অর্থলগ্নি ব্যবসার প্রতিবাদেও হয়েছে আন্দোলন
  • রাজ্যের রাজনৈতিক পালাবদলের অন্যতম ভূমি

বাংলার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের নেপথ্যে যে দুটি প্রধান ঘটনা ছিল তার একটি যদি হয় সিঙ্গুর (Singur) আন্দোলন তো অপরটি অবশ্যই নন্দীগ্রামের (Nandigram) প্রতিরোধ। জমি অধিগ্রহণকে কেন্দ্র করে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ এই নন্দীগ্রামেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে গ্রামবাসীদের। গুলিতে মৃত্যু হয় ১৪ জন গ্রামবাসীর। রক্তে লাল হয়ে যায় নন্দীগ্রামের মাটি। সেদিনের সেই ঘটনা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে গোটা দেশের সামনে তুলে ধরেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) এই এলাকাকে। তারপরেরটা অবশ্য সকলেরই জানা। সেই আন্দোলনের ধাক্কাই টলিয়ে দিয়েছিল ৩৪ বছরের বাম শাসনের গদি। যার জেরে ২০১১ সালে রাজ্যে আসে রাজনৈতিক পরিবর্তন। 

যেভাবে নাম হল নন্দীগ্রাম...

শোনা যায়, নন্দীগ্রাম একসময় 'গুমগড়' নামে পরিচিত ছিল। খ্রীষ্টিয় ষোড়শ শতকে সেই গুমগড় ছিল সমুদ্রের তলায়। ধীরে ধীরে সেখানে চর ও জঙ্গল তৈরি হয়। আর সেই জঙ্গল কেটেই সেখানে বসবাস শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। ওড়িয়া ভাষায় রচিত 'চৌধুরী চরিত' থেকে জানা যায়, গুমগড়ের এক রাজা ছিলেন নন্দীগোপাল রায়চৌধুরী। তাঁরই নামানুসারে এলাকার নাম হয় নন্দীগ্রাম। 

অতীতেও হয়েছে আন্দোলন

ইতিহাস বলছে নন্দীগ্রামের মাটি অনেক আগে থেকেই আন্দোলনের ঘামে ভেজা। জানা যায়, ১৯০৩ সালে এই নন্দীগ্রামেই গজিয়ে উঠেছিল বেআইনি অর্থলগ্নি ব্যবসা। যার মাথা ছিল গোপাল রায় নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, নন্দীগ্রামের তৎকালীন দারোগা রায়মোহন ঘোষের প্রশয়েই গোপাল রায়ের বেআইনি অর্থলগ্নি ব্যবসার রমরমা হয়। তবে একসময় লগ্নিকারীরা বুঝতে পারেন যে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। তারপরেই তাঁরা টাকা ফেরতের দাবিতে গোপাল রায়ের বাড়ি ঘেরাও করেন। সেইসময় পালটা প্রতারিতদের ওপরেই লাঠিচার্জের নির্দেশ দেন দারোগা রায়মোহন ঘোষ। দারোগার সেই নির্দেশে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। পালটা পুলিশকেই তাড়া করেন তাঁরা। সেই সুযোগে গোপাল রায় পালিয়ে গেলেও বিক্ষোভকারীদের হাতে ধরা পড়ে যান রায়মোহন ঘোষ। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা তাঁকেই গণপিটুনি দিয়ে খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারেন। গোটা ঘটনায় পুলিশ গোপাল রায়সহ প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেফতার করে। আর দারোগাকে পুড়িয়ে মারার অপরাধে ফাঁসি হয় ৩ জনের। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে আন্দোলনের আগুন নন্দীগ্রামের মানুষের শিরার-উপশিরায় বহু আগে থেকেই রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।  

Advertisement

আরও পড়ুনমাধ্যমিক পাশে ভারতীয় সেনায় চাকরির সুযোগ, বেতন ৫৬ হাজার টাকা

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement