Advertisement

মুড়ি-মুড়কির মতো পাঁঠা ও পায়রা বলি পাগলারহাটের পুজোর আকর্ষণ

কালী পুজার রাতে শতাধিক পাঁঠা ও পায়রা বলি দেখতে শতবর্ষ প্রাচীন পাগলারহাট কালীবাড়িতে রাত জাগেন কয়েক হাজার মানুষ।

পাগলারহাটের কালীপুজো
অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 31 Oct 2021,
  • अपडेटेड 7:13 PM IST
  • একের পর এক বলি এখানকার আকর্ষণ
  • পাগলারহাটের পুজো দেখতে আসেন অন্য রাজ্যে থেকেও
  • করোনার কারণে এবার বাতিল মেলা

কুমারগ্রাম ব্লকের পাগলারহাট কালীবাড়ির পুজো প্রায় ১৩০ বছরের পুরোনো। ইংরেজ আমলে স্থানীয় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি একটি পাথর বসিয়ে প্রথম পুজো করেছিলেন। এরপর মাটির প্রতিমা দিয়ে পুজো শুরু হয়। তারপর হাসিলাল আগরওয়াল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি পাথরের প্রতিমা দান করেন। স্থায়ী মন্দিরে সাড়ে তিন ফুট উঁচু কালোরঙের ওই প্রতিমা দিয়ে শুরু হয় পুজো।

পাঁঠা ও পায়রা বলি এখানকার আকর্ষণ

কালী পুজার রাতে শতাধিক পাঁঠা ও পায়রা বলি দেখতে শতবর্ষ প্রাচীন পাগলারহাট কালীবাড়িতে রাত জাগেন কয়েক হাজার মানুষ। পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম ও পাশের জেলা কোচবিহার থেকে আগত ভক্তদের ভীড়ে গমগম করে পাগলারহাট কালীবাড়ি।

গর্ভগৃহে ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া নিয়ে দোটানা

সনাতন ধর্ম মতে স্থায়ী মন্দিরে দক্ষিণাকালীর পুজো হয়। মায়ের সামনে শতাধিক পাঁঠা এবং পায়রা বলি দিয়ে হয় সেই পুজো। বলি দেখতেই রাতভর মানুষের ভিড়ে থিকথিক করে মন্দির চত্বর। রাতে পুজো শেষ হওয়ার পর মন্দিরের সামনে কয়েকশ পাঁঠা ও পায়রা বলি দেওয়া হয়। বলি শেষে মন্দির প্রাঙ্গণ রক্তের স্রোতে ভেসে যায়।
গতবারের মত এ বছরেও করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সরকারি বিধিনিষেধ মেনেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছর পুরোহিত শঙ্কর রায় পুজো করবেন। গত বছরে মন্দিরের সামনে ভক্তদের জমায়েত নিষেধ ছিল। মন্দিরের গর্ভগৃহেও ভক্তদের  প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে নিয়ম মেনেই এবছর পুজোর মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে।

প্রথাগত মেলা বাতিল

পুজোকে কেন্দ্র করে মন্দিরের পশ্চিম দিকে প্রতি বছর বিরাট মেলা বসে। সাতদিন ধরে ওই মেলা চলে। প্রতিবেশী দেশ ভুটানের অনেক নাগরিক মেলাতে আসতো। তবে গত বছরের মত এবছরেও মেলা বাতিল করা হয়েছে। মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর প্রায় দু'শোটির মতো পাঁঠা বলি দেওয়া হয়েছে। পায়রা ছিল চল্লিশ জোড়া। তবে এ বছর বলির সংখ্যা কতটা হবে তা এখনই বলতে পারছেন না মন্দির কমিটির সদস্যরা। মন্দিরের তরফে করোনাথ দাস, অরুন দাস নামে দুই ব্যক্তি রাম দা হাতে নিয়ে ওই পাঁঠা এবং পায়রাগুলি বলি দেবেন। যারা উৎসর্গ করেন বলি, সেই ভক্তদেরই দিয়ে দেওয়া হয় বলির পর।

Advertisement

করোনা বিধি গেরোয় ফেলেছে

এ বছরের পুজো কমিটির সম্পাদক দেবকুমার দাস বলেন, করোনা পরিস্থির জন্য এবার বিধিনিষেধ মেনে মন্দিরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। বলি দেবার জন্য যারা পাঁঠা নিয়ে আসেন। তাদের নাম আগে থেকে তালিকাভুক্ত করা হয়। তবে এ বছর ঠিক কতগুলি বলি হবে তা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রেমানন্দ দাস বলেন, শতাব্দী প্রাচীন এই কালীপুজো দেখতে এবং পুজোকে কেন্দ্র করে আয়োজিত মেলাতে প্রতি বছর লক্ষাধিক লোকজনের সমাগম হয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement