Advertisement

দিনে ১৫টা করে সিগারেট, খসে পড়তে শুরু করেছে আঙুল

ধূমপানের সাইড এফেক্ট! ১৩ বছর বয়স থেকে শরীরে ধরেছে পচন, খসে পড়ছে একের পর এক আঙুল, মহিলার হাতের চেহারা দেখলে শিউরে উঠতে হয়।

আঙুল পচে খসে পড়ছে
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 17 Mar 2022,
  • अपडेटेड 4:33 PM IST
  • ধূমপানের সাইড এফেক্ট!
  • ধরেছে পচন, খসে পড়ছে একের পর এক আঙুল
  • আঙুল খুইয়ে এখন ধূমপান বিরোধী প্রচার মহিলার

সিগারেট ধূমপানের কারণে এক মহিলার আঙ্গুল ঝরে যাচ্ছে। শুরু হয়েছে পচন। বিশেষ ব্যাপার হলো এটা যে এর কোনও চিকিৎসা নেই। প্রথমে তো ওই মহিলার আঙ্গুলের রং বেগুনি হয়ে গিয়েছিল। তারপর সেটি আস্তে আস্তে কালো হয়ে যায়। এরপর আঙ্গুল গলতে শুরু করেছে। এই ৪৮ বছর বয়সী মহিলার নাম মেলিন্ডা জনসন।তিনি সাউথ আফ্রিকার বাসিন্দা। এই মহিলা জানিয়েছেন ২০২১ এর অক্টোবরে তার হাতে বদল শুরু হয়। প্রথমে হাতের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যা সহ্য করতে অসুবিধে হতে শুরু করেছিল। এরপর আস্তে আস্তে নরম হতে শুরু করে। যখন ঐ মহিলা আঙ্গুল কালো হতে শুরু করে, তখন তিনি ডাক্তারের কাছে চলে যান এবং জানতে পারেন তার আঙ্গুলে, ধূমপান করার কারণে ঘটছে। বিশেষ ব্যাপার হল এই রোগের কোনও রকম ওষুধ বা চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। ব্লাড ভেসেলে রক্ত জমে যাচ্ছে এবং এটি খসে পড়তে শুরু করেছে।

১৩ বছর বয়সে শুরু করেন ধূমপান

যখন জানতে পারেন যে এটি তার স্মোকিং এর কারণে, হচ্ছে তখন তিনি সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দেন। তিনি জানিয়েছেন ১৩ বছর বয়সে তিনি প্রথম স্মোকিং শুরু করেন। তিনি সারাদিনের গড়ে ১৫ টি সিগারেট খান বলে জানা গিয়েছে। স্মোকিং ছাড়ার পর তার আঙ্গুল ঝড়ে যাচ্ছে। তাঁর ডান হাতের তিন আঙুল এর উপরের অংশ এবং বাঁ হাতের একটা আঙ্গুল ইতিমধ্যেই খসে পড়ে গিয়েছে।

সাধারণ কাজও করতে পারছেননা মেলিন্ডা 

মেলিন্ডা জানিয়েছেন, নিজের হাতের ব্যবহার তিনি করতে পারছেন না। সাধারন জিনিস ধরা বা সাফ সাফাই করা বা অন্যান্য সাধারণ খাওয়া জিনিসপত্র ধরার কাজে তিনি করতে পারছেন না। এর মধ্যে কোনও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি ব্যথায় কাতরাচ্ছেন এবং ব্যথা থেকে কোনও রকম আরাম পাচ্ছেন না। মেলিন্ডা জানিয়েছেন যে তিনি পেশাগতভাবে পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং কোয়ালিফাইড নেল টেকনিশিয়ান।

Advertisement

সব কাজ বন্ধ, শুধু দেখছেন আঙুল খসে পরা 

যখন তার হাতে পচন ধরা শুরু করেছে তখন তিনি সেই কাজ করতে পারছেন না। তিনি গত অক্টোবর থেকে কোনও কাজ করতে পারেন না। জানিয়ে দিয়েছেন যে মহিলা রিলিফের জন্য কিছু করতে পারছেন না এবং এই কারণে তার এক এক করে আঙ্গুলগুলি পড়ে যাচ্ছে। এখন তিনিও বসে বসে তার সমস্ত আঙ্গুল পড়ে যাওয়ার অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু করতে পারছেন না। মেলিন্ডা জানিয়েছেন, যখন তিনি জানতে পারেন যে এর কোনও চিকিৎসা নেই। তারা আঙ্গুল নিজে নিজে ঝরে যাওয়ার পদ্ধতি নিয়েছে। মেলিন্ডা জানিয়েছেন যে আমার জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এখন তিনি ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছেন।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement