Advertisement

অক্সিজেনের ঘাটতি, জল হবে বিষাক্ত; কীভাবে-কবে পৃথিবী ধ্বংস? সময় জানালেন বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীর ধ্বংস কবে? কীভাবে ধ্বংস হবে? এই নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। এই বিষয়ে গবেষণা সামনে এসেছে। সেই গবেষণায় জানা গেছে, কবে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী, কীভাবে ধ্বংস হবে ইত্যাদি এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 29 Nov 2022,
  • अपडेटेड 8:28 PM IST
  • পৃথিবীর ধ্বংস কবে?
  • কীভাবে ধ্বংস হবে?
  • এই বিষয়ে গবেষণা সামনে এসেছে

পৃথিবীর ধ্বংস কবে? কীভাবে ধ্বংস হবে? এই নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। এই বিষয়ে গবেষণা সামনে এসেছে। সেই গবেষণায় জানা গেছে, কবে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী, কীভাবে ধ্বংস হবে ইত্যাদি এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

বিজ্ঞানীদের দাবি পৃথিবীতে প্রথম প্রলয় আসে ৪৪৩ মিলিয়ন বছর আগে। এর নাম দেওয়া হয় এন্ড-অর্ডোভিসিয়ান। এই সময় পৃথিবীর সমস্ত জল বরফে পরিণত হতে থাকে। সাগরে বসবাসকারী প্রাণীরা মারা যেতে থাকে। এই সময়, প্রায় ৮৬টি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ২০১৭ সালের বর্তমান জীববিজ্ঞান জার্নালে বিশদভাবে এই প্রলয়ের ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় প্রলয় হয় প্রায় ৩৫৯ থেকে ৩৮০ মিলিয়ন বছর আগে। একে বলা হয় এন্ড ডেভোনিয়ান। আগ্নেয়গিরির আকস্মিক সক্রিয়তার কারণে এই প্রলয় আসে। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে। তখন উপস্থিত প্রায় ৭৫ শতাংশেরও বেশি প্রজাতি বিলুপ্ত হয়। অনেক মাছ ধ্বংস হয়ে যায়। মজার বিষয় হল, ছোটো প্রজাতির প্রাণীরা বেঁচে ছিল। সেখান থেকেই উভচর, সরীসৃপ ও স্তন্যপায়ী প্রাণীর বিভাজন শুরু হয়।

আরও পড়ুন

তৃতীয় প্রলয়ের নাম এন্ড পারমিয়ান। সাইবেরিয়ার আগ্নেয়গিরি এর জন্য দায়ি। ২৫১ মিলিয়ন বছর আগে এই প্রলয় আসে। ফলে সমুদ্র ও বাতাসে বিষ ও অ্যাসিড ছড়াতে থাকে। এমনকী ওজোন স্তরও ধ্বংস হয়ে যায়। এর কারণে বিপজ্জনক ইউভি রশ্মি বেরিয়ে আসে। এরই মধ্যে বেরিয়ে আসা বিকিরণের কারণে জঙ্গল ধ্বংস হয়ে যায়। এই সময়কালেও বহু গাছের প্রজাতি নষ্ট হয়। 

২১০ মিলিয়ন বছর আগে আর একটা প্রলয় আসে।  একে ট্রায়াসিক সময় বলা হয়। সেবারও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। পৃথিবীর নানা জায়গায় এই অগ্নুৎপাত হয়। প্রায় ৮০ টি প্রজাতি ধ্বংস হয়। 

শেষ এবং পঞ্চমবারের প্রলয়কে বলা হয় এন্ড ক্রিটেসিয়াস। এই সময় পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের বিলুপ্ত হয়। প্রায় ৬৫.৫ মিলিয়ন বছর আগে আসা এই প্রলয়ের তত্ত্ব নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে বিতর্ক রয়েছে। অনেক বিজ্ঞানীর মতে, একটি গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর ধাক্কা লাগে। তবে সবাই এই বিষয়ে একমত নন। তবে এই সময়ের পর থেকেই যে, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড বেড়েছে এবং অক্সিজেনের মাত্রা একেবারে নীচে নেমে গেছে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। 

Advertisement

এখন ষষ্ঠবার প্রলয় আসার পালা। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। কীভাবে আসলে সেই প্রলয় বা ধ্বংসলীলা, কেন এবং কখন? এই প্রসঙ্গে নয়ের দশকে বিখ্যাত জীবাশ্মবিদ রিচার্ড লিকি সতর্ক করেছিলেন, ষষ্ঠ বিলুপ্তির জন্য মানুষই দায়ি হবে। 

কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, আগের পাঁচটি দুর্যোগই প্রাকৃতিক কারণে ছিল। কিন্তু এবার বিপদ বেশি। কারণ মানুষের কর্মকাণ্ড। বিজ্ঞানীদের দাবি, মানুষের জন্যই পৃথিবীতে অক্সিজেনের মাত্রা কমেছে। 

বিজ্ঞানীদের দাবি, এখন এমনিতেই পৃথিবী থেকে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হতে শুরু করেছে। মানুষের কারণে পৃথিবীতে প্রজাতির বিলুপ্তির গতি প্রায় ১০০ গুণ বেড়েছে। অর্থাৎ আমাদের কারণে জীবের ধ্বংস হচ্ছে শতগুণ গতিতে। প্রসিডিংস অফ ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস (পিএনএএস)-এ একদল বিজ্ঞানী এই বিষয়ে ক্রমাগত গবেষণা করছেন। তাঁরা দাবি করছেন, ষষ্ঠ প্রলয় বা পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন।

বিজ্ঞানীদের দাবি, যে গতিতে পৃথিবী উষ্ণ হচ্ছে এবং সাগরের বরফ গলছে তা ভয়ঙ্কর। এতে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করবে। সামুদ্রিক প্রাণীরা মারা যাবে।  জল দিয়ে শুরু হলেও তার প্রভাব বাতাসে পড়বে। ধীরে ধীরে অনেক প্রজাতি শেষ হয়ে যাবে। 

এই প্রসঙ্গে বলা রাখা দরকার, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে অনেক দেশেই বনে আগুন লেগেছে। ইউরোপের দেশগুলোতে এর মাত্রা সব থেকে বেশি। সেজন্য অফিসও বন্ধ রাখতে হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মতে, ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ২৪ মিলিয়ন একর বন কেটে ফেলা হচ্ছে। 

কবে ধ্বংস হবে পৃথিবী? এই নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন দাবি করছেন। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্ল্যানেটারি সায়েন্সেস বিভাগ তার গবেষণার ভিত্তিতে বলেছে, ২১০০ সালের দিকে এই মহাপ্রলয় আসতে পারে। সেই সঙ্গে এটাও মনে করা হচ্ছে, যেভাবে পৃথিবী গরম হচ্ছে, তার আগেই ধ্বংস হতে পারে সব।

Read more!
Advertisement
Advertisement