কয়েক বছর আগে ২০১৩ সালে আগুনে পুড়ে গিয়েছিল ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানীর মন্দির। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের বিগ্রহও। রাজ্য পর্যটন দফতরের তরফে মন্দির সংস্কার ও তার বিগ্রহ পুনর্প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ও কাজ শুরু হয়।
তিন বছর ধরে তৈরি হয়েও এল না
তা তিন বছর ধরে তৈরি হচ্ছিল। এতদিন কেন লাগছে তা নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। তারই মাঝখানে তৎকালীন মন্ত্রী গৌতম দেব হেরে যাওয়ায়, কাজের গতি আরও শ্লথ হয়ে পড়ে। পরে তিনি হারার পরও গিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন, দ্রুত কাজ শেষ করা হবে। অবশেষে কালীপুজোর দিন সকালে আসার কথা ছিল। নতুন বিগ্রহ আসার পর তা প্রতিষ্ঠা করার পরই পুজো করা হবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু তা শেষমেষ না আসায় হতাশ ভক্তরা ও মন্দির কর্তৃপক্ষও।
ক্ষোভ-হতাশা স্থানীয়দের মধ্যে
জানা গিয়েছে মূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে হস্তান্তরের অনুমতি মেলেনি। তাই তা পৌঁছয়নি মন্দিরে। যা নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। পুজোর প্রাক্কালে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও মূর্তি না আসায় ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে স্থানীয়দের মনে।
প্রস্তুতি জলে গেল
এদিন ঢাকঢোল নিয়ে স্থানীয়রা প্রস্তুত হয়ে ছিলেন। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়, এই মন্দিরকে ঘিরে স্থানীয়দের বিরাট সেন্টিমেন্ট রয়েছে। প্রত্যেকের জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই মন্দিরের চত্বরকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। ফলে নতুন মূর্তি আসার কথা শুনে আমাদের আলাদা প্রস্তুতি তৈরি হয়ে গিয়েছিল। সবাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। কালীপুজোর প্রাক্কালে মূর্তি আসলে তার চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারতো না।
অনেকেই হাজির হয়েছিলেন নতুন মূর্তি দেখতে
অনেকেই নতুন মূর্তি দেখতে হাজিরও হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও বিগ্রহ না আসায় ফিরে যেতে হয় বিফল মনোরথেও। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি থেকে যাওয়া ভক্তরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও ফিরে যান হতাশ হয়ে।
কবে আসবে উত্তর মেলেনি
তবে যতদিন বিগ্রহ না আসছে মন্দির আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানিয়েছেন, বিভাগীয় ব্যাপার। তিনি কিছু জানেন না। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে মূর্তির উদ্বোধন করানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন বলে জানান তিনি। তবে কি সে কারণেই পিছিয়ে দেওয়া হল মূর্তির আগমন ? উত্তর অবশ্য মেলেনি।