Advertisement

এবার বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে 'গুপ্ত ওমিক্রন', ধরা পড়ছে না RT-PCR পরীক্ষায়

stealth Omicron fast spreading: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের তিনটি সাব-স্ট্রেইন রয়েছে। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণে বিএ.১ সাব-স্ট্রেইন দাপট বেশি। তবে  দ্রুত বাড়ছে বিএ.২ উপপ্রজাতিও।

বিশ্বের ৪০ দেশে চিহ্নিত 'গুপ্ত ওমিক্রন'।বিশ্বের ৪০ দেশে চিহ্নিত 'গুপ্ত ওমিক্রন'।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 23 Jan 2022,
  • अपडेटेड 8:57 AM IST
  • বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণে বিএ.১ সাব-স্ট্রেইন দাপট বেশি।
  • দ্রুত বাড়ছে বিএ.২ উপপ্রজাতিও।
  • চিহ্নিত করা যাচ্ছে না আরটি-পিসিআর পরীক্ষায়।

আরটি-পিসিআর পরীক্ষাতেও ধরা পড়ছে না করোনা! আর সেটা ওমিক্রনের নতুন ধরন। ওমিক্রনের সাব-স্ট্রেইনের হদিশ পেয়েছে বিশ্বের ৪০টি দেশ। আর এই সাব-স্ট্রেইন চিহ্নিত করা যাচ্ছে না আরটি-পিসিআর পরীক্ষায়। BA.2 সাব-স্ট্রেইন বা 'গুপ্ত ওমিক্রন' নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপ-প্রজাতি ইউরোপে করোনার শক্তিশালী ঢেউ আনতে পারে।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের তিনটি সাব-স্ট্রেইন রয়েছে। সেগুলি হল -  BA.1, BA.2 এবং BA.3। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণে বিএ.১ সাব-স্ট্রেইন দাপট বেশি। তবে দ্রুত বাড়ছে বিএ.২ উপপ্রজাতিও। যেমন ডেনমার্কের ২০ জানুয়ারির পরিসংখ্যান বলছে, দেশের সক্রিয় করোনা আক্রান্তদের অর্ধেকের শরীরে মিলেছে বিএ.২ সাব-স্ট্রেইন। বিএ.২ সাব-স্ট্রেইন নিয়ে তদন্ত করছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এটিকে 'আশঙ্কাজনক উপপ্রজাতি' হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।       

'গুপ্ত ওমিক্রন'   

আরও পড়ুন

ব্রিটেন ও ডেনমার্ক ছাড়া বিএ.২ সাব-স্ট্রেইন মিলেছে সুইডেন, নরওয়ে এবং ভারতে। এই নতুন উপপ্রজাতি বিএ.১-কে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ভারত ও ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা। বিএ.২-র ৫৩টি সিকোয়েন্সকে সনাক্ত করেছে ব্রিটেন। 

কেন 'গুপ্ত ওমিক্রন'  আশঙ্কার? 

গবেষকদের মতে, বিএ.১-র সঙ্গে ৩২টি স্ট্রেইন ভাগ করে নিয়েছে বিএ.২। ২৮ বার মিউটেশন হয়েছে। বিএ.১ সাব-স্ট্রাইনের মিউটেশনে স্পাইক জিন ধরা পড়ে পিসিআর পরীক্ষায়। কিন্তু এই ধরনের মিউটেশন নেই বিএ.২-র। ফলে তা ধরা পড়ে না। 

পিসিআর পরীক্ষা কার্যকর নয়? 

বিএ.১ সাব-স্ট্রেইনও অনেক ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ধরা পড়ে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাইরাসের চিহ্নিতকরণে এই পরীক্ষাই সর্বাধিক উত্তম। রেডিওলজিস্ট হর্ষ মহাজনের কথায়,''ভাইরাসের হদিশ পেতে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাই সেরা। ওমিক্রন ও ডেলটার সংবেদনশীলতা বা পিক আপ রেটের কোনও ফারাক নেই। ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনে ৩০ বারের বেশি মিউটেশন হয়েছে। তাতে সংবেদনশীলতার কোনও তফাৎ হয় না। ফলে পরীক্ষায় ধরা পড়ে।''

Read more!
Advertisement
Advertisement