Advertisement

Stray dogs attack: শিশুদের কামড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে, কেন পথ কুকুররা এত আক্রমণাত্মক? কোন পথে সুরাহা, বিস্তারিত জানালেন বিশেষজ্ঞরা

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ৪ বছরের একরত্তি। আচমকা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকটি পথ কুকুর। আঁচড়ানো-কামড়ানো শুরু হয়। বাচ্চাটি ভয় পেয়ে ছুটতে শুরু করলে তাঁকে ফের আক্রমণ করে কুকুরের দল। খুবলে দেয় শরীর। মৃত্যু হয় শিশুটির। ঘটনা তেলেঙ্গানার। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে।

ফাইল ছবি।
সুকমল শীল
  • কলকাতা ,
  • 13 Mar 2023,
  • अपडेटेड 2:45 PM IST
  • রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ৪ বছরের একরত্তি।
  • আচমকা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকটি পথ কুকুর।

রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ৪ বছরের একরত্তি। আচমকা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কয়েকটি পথ কুকুর। আঁচড়ানো-কামড়ানো শুরু হয়। বাচ্চাটি ভয় পেয়ে ছুটতে শুরু করলে তাঁকে ফের আক্রমণ করে কুকুরের দল। খুবলে দেয় শরীর। মৃত্যু হয় শিশুটির। ঘটনা তেলেঙ্গানার। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, শিশুটি রাস্তায় একা হাঁটছে। রাস্তার তিনটি কুকুর হঠাৎই আক্রমণ করে। একটি কুকুরের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যায় শিশুটি। তারপর তার উপর ফের হামলা চালায় কুকুরের দল। গুরুতর জখম অবস্থায় বাচ্চাটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। নিতান্তই নিরীহ নেড়িরা এত আক্রমণাত্মক হয়ে হামলা চালাতে পারে, ভাবতে পারছেন না কেউই।

ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দিল্লির বসন্তকুঞ্জেও একই ঘটনা। নিখোঁজ শিশুর তল্লাশিতে আসে পুলিশ। শিশুটির মরদেহ মেলে জঙ্গলে। কুকুররা মিলে যার সারা শরীর খুবলে নিয়েছিল। পরদিনই ওই শিশুর দাদাকেও একইভাবে আঁচড়ে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে পথকুকুরদের দল। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাকেও। রাস্তার কুকুর হোক বা বাড়িতে পোষা কুকুর, ইদানীংকালে কুকুরের হিংসাত্মক আক্রমণের খবর প্রায় রোজই মিলছে। দিল্লি, গুজরাত, মুম্বই, তেলেঙ্গানা- একের পর এক এরকম খবরে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। 

আরও পড়ুন-ফের পথ কুকুররা ছিঁড়ে খেল দুই শিশুকে, মৃত্যু; উদ্বেগে প্রশাসন

সাম্প্রতিক সময়ে কুকুরের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। বছর কয়েক আগেও শহরে কুকুরের এত দাপট ছিল না। দিন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে কুকুরের সংখ্যা। সম্প্রতি কুকুররা এত হিংস্র হয়ে উঠছে কেন? উত্তরে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটি অফ বায়োলজির সদস্য এবং পথ কুকুর বিশেষজ্ঞ, গবেষক ড. সুনীল কুমার পাল বললেন, 'বেশ কিছু কারণে কুকুররা আক্রমণাত্মক হচ্ছে। প্রথমত করোনার পর থেকে পথ কুকুরদের খাবারের উৎস কমেছে। যেকারণে কুকুররা একটু অ্যাগ্রেসিভ হয়ে উঠছে। আর বাচ্চারা কুকুর দেখে ভয় পাচ্ছে। ছুটে পালানোর চেষ্টা করছে। আর তখনই ওই কুকুরা কামড়ে দিচ্ছে। কুকুররা প্রসব করার পরও অ্যাগ্রেসিভ হয়ে যাচ্ছে। জঙ্গলের দিকে কিছু কুকুর রয়েছে, যারা মানুষকে মেরে খেয়েও ফেলতে পারে। তবে লোকালয়ে সেরকম কুকুর নেই। কিন্তু প্রথমেই প্রয়োজন, সতর্ক হওয়া।'

Advertisement

নির্বীজকরণ করে কোনও লাভ হবে? উত্তরে সুনীলবাবুর কথায়, 'নির্বীজকরণে কোনও লাভ নেই। কারণ সেক্ষেত্রে কুকুররা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে। কারণ তাদের অস্তিত্ব সংকট তৈরি হবে। তবে কুকুরদের আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার পেছনে নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। ভারতে রয়েছে কম-বেশি ৩ কোটি রাস্তার কুকুর। রাস্তার কুকুরের কামড়ে ভারতে ফি-বছরে গড়ে মৃত্যু হয় অন্তত ২০ হাজার মানুষের। যাদের বেশির ভাগই শিশু বা প্রবীণ। পথ কুকুররা খুব ভালভাবে মানুষকে চিনতে পারে। পথ কুকুররা যদি দিনের পর দিন মারধর, গায়ে ঢিল ছোড়া বা তাড়িয়ে দেওয়ার মতো আচরণ পেতে থাকে, তাহলে মানুষের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয় তাদের। কুকুরের বাচ্চা গাড়ি চাপা পড়লে কুকুর হিংসাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ফলে যখন তখন প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠতে পারে কুকুর।'

তিনি আরও বলেন, 'আস্তাকুড় থেকে ফুড পলিউশন হচ্ছে ফলে কুকুর বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হচ্ছে। ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে কুকুরের। পুরসভার উচিত পথ কুকুরদের নির্বীজকরণের পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থা করা। আর বাড়ির কুকুরকে শান্ত করতে বিদেশের মতো মিউজিক থেরাপি করা যেতে পারে।'

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement