হেলথকেয়ার এর পরিচিত কোম্পানি ChrysCapital এর পার্টনার সঞ্জীব কল, বিখ্যাত ব্যবসায়ী রতন টাটার সঙ্গে জড়িত একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। তিনি জানান যে, কীভাবে তিনি স্টার্টআপ শুরু করার সময় রতন টাটার সাহায্য করেছিলেন। তাঁর এই গল্প অত্যন্ত চমকপ্রদ। যা ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের মন কেড়েছে এবং ভাইরাল হয়েছে।
সঞ্জীব কল কী বলেছেন?
সঞ্জীব কল লিখেছেন ২০০৪ সালে জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে মুম্বই থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন তিনি। তিনি তাঁর নিজের জন্য লগ্নিকারী খুঁজছিলেন। প্রসঙ্গত তিনি সেদিন মুম্বইয়ে একটা বড় কোম্পানির ফান্ডিং এর জন্য গিয়েছিলেন। তাঁদের মিটিং ঠিকঠাক হয়নি এ কারণে তিনি একটু হতাশ ছিলেন। এদিকে প্লেনে আসনে বসে তিনি সে বিষয়টিই ভাবছিলেন। অন্যদিকে অন্যান্য যাত্রী উঠছিলেন, সঞ্জীব কল উদাস হয়ে ল্যাপটপের পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখছিলেন। তিনি দেখতে চাইছিল যে তাঁর ভুল কোথায় হয়েছে?
কাকতালীয়ভাবে রতন টাটার পাশে বসায় বদলে যায় ভাগ্য
এরই মধ্যে আচমকা সমস্ত রকম আওয়াজ থেমে গেল। সঞ্জীব কল মাথা উঠিয়ে ব্যাপার কি, দেখতে চান. তখন তিনি দেখেন টাটা গ্রুপের মালিক রতন টাটা তাঁর পাশের সিটে বসে রয়েছেন। অবাক হয়ে যান তিনি এত বড় ব্যক্তি তাঁর পাশে বসে রয়েছেন দেখে। কিছুক্ষণের মুগ্ধতা এবং হতভম্বতা কাটিয়ে তিনি কিছুক্ষণ পর আবার নিজের পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেখতে শুরু করেন। এরপর জুসের গ্লাস থেকে তাঁর টাইয়ে কিছুটা জুস পড়ে যায়। তক্ষুণি তাঁকে ন্যাপকিন বের করে জুস পরিষ্কার করতে সাহায্য করেন। সঞ্জীব তাঁকে ধন্যবাদ জানান এবং কথাবার্তা শুরু হয়।
সঞ্জীবের মনমরা ভাব দেখে রতন টাটা বিষয়টি জানতে চান
সঞ্জীবকে একটু মুষড়ে পড়তে দেখে টাটা জিজ্ঞাসা করায় তিনি জানান, যে ভারত দুজন বিজ্ঞানী হারাতে চলেছে। যারা দেশের প্রথম ফার্মাসিটিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি বানাতে চান। এখন কোনও লগ্নি না পেয়ে ওই দুই সাইন্টিস্ট ফেরত আমেরিকা চলে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কল জানান যে তিনি সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন এবং তাঁর ফান্ডিং এর বিষয়ে তিনি এসেছিলেন। কিন্তু তিনি সমস্ত বিকল্প পরখ করে নিয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল পাননি।
রতন টাটার ছোঁয়ায় বদলে যায় কোম্পানির ভাগ্য
সঞ্জীব কল এর কথা শুনে রতন টাটা তাঁর ফোন নম্বর চেয়ে নেন। টাটা জানান, আমাদের গ্রুপ থেকে খুব দ্রুত তোমার কাছে ফোন আসবে। ফ্লাইট থেকে নামার পর ওইদিনই রাত নটায় সঞ্জীব কলের কাছে টাটা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজারের ফোন আসে। ম্যানেজার এর কথা শুনে শুনে অবাক হয়ে যান সঞ্জীব। গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীবকে বলেন আপনি ওই দুই বিজ্ঞানীর সঙ্গে পরদিন মিটিং-এর জন্য মুম্বই আসতে পারবেন? এরপর মুম্বই চলে যান তিনি। সেখানে টাটা বোর্ডের সামনে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন। আর প্রজেক্টে সবুজ সঙ্কেত মিলে যায়।
রতন টাটা দেশভক্ত: সঞ্জীব কল
সঞ্জীব কল রতন টাটাকে দেশভক্ত বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যে দেশ ভক্ত রতন টাটা ব্রেন ড্রেন আটকাতে সাহায্য করেন। পোস্টের শুরুতেই বলে দেন যে সবাই রতন টাটা দ্য লিজেন্ড এর বিষয়ে কথা বলেন, আমি রতন টাটার প্যাট্রিয়ট এর ব্যাপারে কথা বলব।