তসলিমা নাসরিনকে আবার বাংলায় ফেরানোর দাবি জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এই সূত্রে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেদেরও তীব্র আক্রমণ করেছেন শমীক। তৃণমূল ও কংগ্রেস পাল্টা আইন-শৃঙ্খলার কথা বলেছে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব কেন্দ্রের বলে মন্তব্য করেছে সিপিএম। তসলিমা রাজ্যে ফেরার বিষয়টি নিয়ে 'bangla.aajtak.in'-কে অবশ্য বলেছেন, 'জানি না, কলকাতায় শেষ পর্যন্ত আমার ফেরা হবে কি না...। কিন্তু আমি ফিরতে চাই। বিজেপি সাংসদকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি ওঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।'
বিষয়টিতে বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ও প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন মঙ্গলবার 'bangla.aajtak.in'-কে বললেন, 'তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে আমি আগ্রহী নই। আমার কাছে ওঁর কোনও গুরুত্ব নেই। একসময় তিনি ‘লজ্জা’ নামে বই লিখেছিলেন। বিজেপি বইটার প্রচার করেছে, এটা আমি শুনেছি। আমার মনে আছে, ট্রেনেও নাকি বইটা বিজেপির কর্মীরা বিলি করত।'
সুমনের অভিযোগ, 'তসলিমা বিদেশি। বাংলাদেশের নাগরিক। উনি বাংলাদেশের বিষয়ে মাথা ঘামালেই পারতেন। একসময় এখানকার কোনও কোনও প্রবীণ মানুষ ওঁকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। কিন্তু তসলিমা ধর্মের জায়গাটাকে একটা হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছেন।'
বিজেপি তসলিমাকে হাতিয়ার করে বিভাজনের রাজনীতি করছে, এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কবীর সুমনও বললেন, 'দেখুন, বিজেপির একটাই কাজ। শুভেন্দু অধিকারীর কথা শুনে আমি ক্লান্ত। ওরা কোনওভাবেই পশ্চিমবঙ্গকে হাত করতে পারছেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকারকে ভেঙে দিতে গেলে এরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে দিতে হবে, সেটাই বিজেপি চাইছে। কিন্তু এরাজ্যে হিন্দু-মুসলমান নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। বিজেপি নতুন করে চাকা আবিষ্কার করছে। সহজ বাংলায় যেটাকে বলে ঝামেলা পাকানো। এসব করতে হবে কারণ ২৬ সালে এসে পড়ছে। ভাইয়ে ভাইয়ে একটা ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে।'
তসলিমার কলকাতায় ফেরার বিষয়ে কবীর সুমন বলেন, 'উনি বাংলাদেশে কেন ফিরতে চান না? আমি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। আমি তো চাই আমার কবর কলকাতায় হোক। উনি বাংলাদেশের মানুষ হয়ে কেন বারবার কলকাতাতেই ফিরতে চান? বিজেপির ধারণা, তসলিমা এলে এখানে বিজেপির হয়ে সওয়াল করবেন, ক্যাম্পেন করবেন। ওঁর তো অনেক বয়স হয়েছে, পরমেশ্বর ওঁকে পথনির্দেশ দিন।'