Advertisement

Teacher's Day : একজন ছাত্র একটি করে গাছের অভিভাবক! হিঙ্গলগঞ্জে সবুজের অভিযান

Teacher's Day: তাঁরা শুরু করেছিলেন 'ওয়ান ট্রি ফর ওয়ান স্টুডেন্ট'। প্রথমে ৩০০ গাছ লাগানো হয়। পড়ুয়ারা তো বটেই, স্থানীয় মানুষ যোগ দিয়েছিলেন সেই কর্মসূচিতে।

পুলক রায়চৌধুরি (বাঁদিকে, নীল জামা), তাঁর পড়ুয়ারাপুলক রায়চৌধুরি (বাঁদিকে, নীল জামা), তাঁর পড়ুয়ারা
অভিজিৎ বসাক
  • হিঙ্গলগঞ্জ,
  • 04 Sep 2021,
  • अपडेटेड 9:20 PM IST
  • এক-একজন পড়ুয়া এক-একটি গাছের অভিভাবক
  • সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের এক স্কুলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে সবুজের অভিযান
  • শুনলে মনে হবে রূপকথা

Teacher's Day: এক-একজন পড়ুয়া এক-একটি গাছের অভিভাবক। সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের এক স্কুলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে সবুজের অভিযান। শুনলে মনে হবে রূপকথা। কয়েক বছর ধরে চলছে সেই কর্মসূচি। ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি টুকটুক করে বেড়ে উঠেছে গাছগুলোও।

এক শিক্ষকের উদ্যোগে
ওই শিক্ষকের নাম পুলক রায়চৌধুরি। তিনি ২০১৪ সালে শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন। প্রধানশিক্ষক হিসেবে যুক্ত হন সুন্দরবনের এক স্কুলে। তখন তাঁর জন্য সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল।

গাছ দিন
তখন তিনি জানান, সে-সব না করে গাছ কিনুন, গাছ লাগাই। পুলকবাবু জানান, সেদিন ৪টে গাছ লাগাই। এরপর ঠিক হয় প্রত্যেক ছাত্রের জন্য এক-একটি করে বৃক্ষ। তারপর ধাপে ধাপে এক হাজারের বেশি গাছ লাগানো হয়। তিনি কণকনগর সৃষ্টিধর ইন্সটিটিউশনে পড়ান। হিঙ্গলগঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগণার। 

আরও পড়ুন

৩০০ গাছ দিয়ে শুরু
তাঁরা শুরু করেছিলেন 'ওয়ান ট্রি ফর ওয়ান স্টুডেন্ট'। প্রথমে ৩০০ গাছ লাগানো হয়। পড়ুয়ারা তো বটেই, স্থানীয় মানুষ যোগ দিয়েছিলেন সেই কর্মসূচিতে। দেখা যায়, সব গাছই বেঁচে যায়। পঞ্চায়েত থেকে লাগালেও বাঁচাতে পারি না। পরে তাঁদের টেগোর সোসাইটি গাছের চারা দিয়েছিল।

ছাত্রের থেকে গাছ বেশি!
বর্ষার পর পর গাছ লাগালে ভাল হয়। তা হলে সেগুলি দ্রুত বেড়ে ওঠে। পুলক জানান, এখন সেখানকার ছাত্র ১১৯৪ জন। স্কুলের আশপাশে গাছ রয়েছে ১২০০টি!

পাখির বাসা
২০২১ সালে বেশ বেড়ে উঠেছে গাছ। আর তাকে শুরু ঘিরে পাখি আসতে শুরু করে। তখন পাখির বাসা লাগানো শুরু হয়। মাটির হাঁড়ি কিনে, ফুটো করে, কাঠকুটো দিয়ে তৈরি হয় বাসা। যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীও। সেখানে পরিযায়ী পাখি আসে। চোরাশিকারি রয়েছে। তা ঠেকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কাজ প্লাস্টিক নিয়েও
বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। ৪০ জনের দল সে কাজে যুক্ত। গ্রামের মানুষকে বোঝানোর জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছিল পড়ুয়ারা। কাজও দিয়েছে বেশ।

এবার আমগাছ
পুলকবাবু বলেন, আমফানে ত্রাণের সঙ্গে ১,২০০টি আম গাছের চারা পেয়েছিলাম। স্কুলের পাশে গ্রাম সেগুলি পোঁতা হয়। ছাত্রছাত্রীরা মিলে পৌঁছে দিয়েছি সেগুলো। ওই গাছের চারা দোফলা আমগাছের ছিল। বছরে দু'বার হয় ফল ফলে সেখানে।

Advertisement

এবারও দেখা যায়, সব গাছই বেঁচে যায়! তবে এ ব্য়াপারে স্থানীয় মানুষ খুব সাহায্য় করেছিলেন। গরু-ছাগল ছেড়ে পোষা হয়। ফলে গাছ নষ্ট হতে পারত। তা হয়নি। মালিকানা তাঁদের, যাদের বাড়ির কাছে লাগানো হয়েছে। স্যান্ডেলের বিল গ্রাম পঞ্চায়েত, রূপমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০টি গ্রামে বেড়ে উঠেছে সে সব।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement