Advertisement

এই ৫ জায়গায় লুকোনো রয়েছে কল্পনাতীত গুপ্তধন, জেনে নিন

বিশ্বের এই ৫ জায়গায় লুকোনেো রয়েছে কল্পনাতীত গুপ্তধন, জেনে নিন। কত টাকার সম্পত্তি, তা সাধারণ মানুষের কল্পনারও বাইরে। পৃথিবীর ঘোষিত প্রথম ১০০ কোটিপতির সম্মিলিত সম্পত্তি এর কাছে নস্যি।

গুপ্তধনের সন্ধানে
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 26 Mar 2022,
  • अपडेटेड 3:44 PM IST
  • এই ৫ জায়গায় লুকোনো রয়েছে গুপ্তধন
  • কত টাকা মূল্য কেউ অনুমানও করতে পারবে না
  • পৃথিবীর ১০০ শীর্ষ ধনীর চেয়েও ঢের বেশি

একটা গুপ্তধনের খোঁজ মিলেছে। কিছু লোক অর্থাৎ প্রত্নতত্ববিদ মনে করছেন যে, দুনিয়ার সবচেয়ে বহুমূল্য সোনার গয়না এবং পুরনো কলাকৃতির মোট সম্পত্তির পরিমাণ আনুমানিক ১২৫৬ আর আরব টাকা। 

যা খুঁজে বের করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। এটা জানা যায়নি এখনও কতটা সম্পত্তি সেখানে আছে এবং তারা সঠিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন কি না। আসলে ফিনল্যান্ডের একটা গ্রুপ হেলসিংকিতে কিছু গুহার কাছে গুপ্তধনের খোঁজ করতে গিয়ে ৩৪ বছর লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন তাঁরা মনে করছেন যে তারা সেই সম্পত্তির খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন। মে মাসের যখন তারা আবার খোঁজা শুরু করবেন খনন কাজ শুরু হলে তখন তা পেয়ে যাবেন বলে আশা করছেন। ওই খাজনার খোঁজে গুপ্তধনের খোঁজের আগেই আপনাকে পৃথিবীর পাঁচটি আশ্চর্য গুপ্তধনের বিষয়ে জানিয়ে দিই।

১. ডাচম্যানের সোনার খনি

এই খাদান আমেরিকার অ্যারিজোনাতে আছে। উনিশ শতকে জার্মানির প্রবাসী নাগরিক জ্যাকব ওয়ালটন খুঁজে বের করেছেন এটি। এরপর তিনি এখান থেকে সোনা বের করেন এবং নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে ৯৮ সালে নিজের মৃত্যুর সময় তিনি শুধু নিজের প্রতিবেশীকে জানিয়েছিলেন। যে শেষ দিনগুলোতে তাঁকে দেখাশোনা করতেন। প্রতি বছর এই গুপ্তধনের খোঁজে বহুলোক অভিযানে যান। কিন্তু কেউ এখনও পর্যন্ত তা খুঁজে পাননি। অনেকে তো হতাশ হয়ে ফিরে চলে গিয়েছেন এবং মৃত্যু হয়ে গিয়েছে।

নাইট টেম্পলারদের গুপ্তধন

নাইটস টেমপ্লার ইউরোপের সবচেয়ে ফেমাস ধার্মিক মিলিটারি অ্যারেঞ্জমেন্ট ছিল। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের রক্ষার জন্য এটি স্থাপনা ১১১৯ সালে হয়েছিল। সময়ের সঙ্গে প্রভাব বাড়তে শুরু করে এবং এর কাছে অগুনতি সম্পত্তি এসে পৌঁছায়। কিন্তু ১৩৬০ সালে রাজা চতুর্থ ফিলিপ, এর ক্রমবর্ধমান শক্তি দেখে ঘাবড়ে যান তিনি সমস্ত নাইটদের গ্রেপ্তার করে নেন এবং গুপ্তধনের উপরেও কব্জা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেগুলি তিনি খুঁজে পাননি। এখনও পর্যন্ত টেমপ্লাক গুপ্তধনের বিষয়ে জানা যায়নি যে এটি কোথায় রয়েছে।

Advertisement

মন্টেজুমারের গুপ্তধন

১৫১৯ সালের স্প্যানিশ এক্সপ্লোরার হার্নান কোর্টসো অ্যাজটেক সাম্রাজ্য পৌঁছেছিলেন। সেখানে রাজা মন্টেজুমার দ্বিতীয় তাঁকে অনেক সোনা-রূপোর উপহার দেন এবং জানান যে এখান থেকে শান্তিপূর্ণভাবে তিনি যেন চলে যান। কিন্তু লোভি স্প্যানিশ এক্সপ্লোরার শহরকে লুটপাট করার চেষ্টা করেন। এর প্রতিরোধ শুরু হযলে কোর্টসো সেখান থেকে পালাতে শুরু করেন। এরই মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে তারা মেক্সিকোর টেক্সটিক হ্রদে সম্পত্তি ফেলে দিয়ে যান। অনেকে মনে করেন সম্পত্তি এখনও পর্যন্ত সেখানেই আছে। অনেকে এটা খোঁজার চেষ্টা করেছেন কিন্তু কেউ খুঁজে পাননি।

ইভান দ্য টেরিবল এর লস্ট লাইব্রেরি 

এটি মস্কোতে অবস্থিত। যা লস্ট বা হারানো লাইব্রেরি নামে পরিচিত। বলা হয় যে ১৬ শতকে ইভান দ্য গ্রেট এটি বানিয়েছিলেন এবং এর মধ্যে বহু দুর্লভ পুঁথি মজুত ছিল। ঐতিহাসিকভাবেই ক্রেমলিনের ভেতর রাখা রয়েছে মনে করা হয়। এই বহুমূল্য পুঁথিগুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। যদিও অনেকে মনে করছেন এই লাইব্রেরি শাপগ্রস্ত। এবং এর খবর জানতে যাঁরা যান, তাঁরা অন্ধ হয়ে যান।

বাচার সিন্দুক 

জেরুজালেমের এক পবিত্র ইহুদি মন্দির এ রাখা হয়েছিল এই সিন্দুক। কিন্তু বলা হয় যে ৫৮৭ লিস্টে ব্যাবিলনের আর্মি যখন এই শহরের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। তখন এটিকে তছনছ করে দেয়। যদিও কিছু লোক মনে করেন যে এটি এখনও পর্যন্ত চার্চের ভেতরেই মজুত রয়েছে। এছাড়া এটি নিয়ে প্রায় অন্য একটি থিওরি আছে। যেটি পৃথিবী পৃথিবীতে এলিয়েন নিয়ে এসেছিলেন, পরে এটিকে ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement