৩০ অগাস্ট থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টের সমস্ত ম্যাচ শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, তবে টিম ইন্ডিয়া সমস্ত ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো (পাকিস্তান ও নেপাল) হবে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। টিম ইন্ডিয়া যদি সুপার-৪-এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করে, তবে এর সমস্ত ম্যাচ কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। এই দুই মাঠেই বোলিং পরিসংখ্যান খুবই আকর্ষণীয়। ভারতীয় প্লেয়িং-১১ খেলবেন ৪ জন ফাস্ট বোলার (হার্দিক সহ) নাকি ৩ জন স্পিনার (জাদেজা, কুলদীপ, অক্ষর), এটা একটা বড় প্রশ্ন। এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দলে ৬ জন পেসার (বুমরাহ, সিরাজ, শার্দুল, শামি, বিখ্যাত কৃষ্ণা এবং পান্ড্য) এবং ৩ জন স্পিনার রয়েছেন। ক্যান্ডি ও কলম্বোর পিচের ইতিহাস কী, এটা জানা খুব জরুরি? এই দুই মাঠেই ফাস্ট বোলার ও স্পিনারদের আধিপত্য? সেই অনুযায়ী ভারত প্লেয়িং-১১ বেছে নিতে পারে।
প্রথমটি হল শ্রীলঙ্কায় যদি ফাস্ট বোলারদের আরও সাহায্য পাওয়া যায়, তাহলে ভারতীয় দল অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ছাড়াও তিনজন পেসারকে দলে রাখতে পারে। শ্রীলঙ্কার পিচগুলি স্পিনারদের পক্ষে থাকলেও, ভারতের প্লেয়িং-১১-এ রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদবের সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলও সুযোগ পেতে পারেন। তবে, জাদেজার সঙ্গে কুলদীপ এবং অক্ষরকে একসঙ্গে মাঠে নামানোর সম্ভাবনা কম। জাদেজার খেলা নিশ্চিত এটা বলে দেওয়া যেতেই পারে।
ক্যান্ডির মাঠে আগে ব্যাট করতে হবে নাকি
ক্যান্ডির মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে যে দল রান তাড়া করে তারাই বেশি সুবিধা পেয়েছে। এই মাঠে ব্যাটসম্যানরা অনেক সাহায্য পায়, কিন্তু খেলা যত এগিয়ে যায় পিচ স্পিনারদের জন্য সহায়ক হয়ে ওঠে। এই মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে ৩৩টি ম্যাচ খেলা হয়েছে, যে দল প্রথমে বোলিং করেছে তারা ১৮টি ম্যাচ জিতেছে। আর আগে ব্যাট করা দল জিতেছে ১৪ ম্যাচে। সেখানে একটি ম্যাচ নিষ্পত্তি হয়নি। কলম্বোতে রান তাড়া করা দলও কঠিন লড়াই দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর আর প্রেমাদাসা মাঠে ম্যাচটি দেখতে পারবেন ৩৫,০০০ দর্শক। এই মাঠের পিচ ব্যাটসম্যানদের অনেক সাহায্য করে। এখানে খেলার সংখ্যা অনুযায়ী ফাস্ট বোলাররা ম্যাচের শুরুতে সহায়তা পেলেও স্পিনাররাও অনেকবার ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছে। কলম্বোতে ১৩৮টি ম্যাচ খেলা হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করা দল ৭৫টি এবং পরে ব্যাটিং করা দল ৫৫টি ম্যাচ জিতেছিল। একই সঙ্গে ৮ ম্যাচে কোনও ফল হয়নি।
ক্যান্ডি গ্রাউন্ডে পেসারদের পরিসংখ্যান অনেক ভালো
ফাস্ট বোলাররা ৩৩ ম্যাচে ১৪৯৩.৪ ওভার বল করেছেন, ৩১.১৫ গড়ে ২৭১টি উইকেট নিয়েছেন। ইকোনমি রেট ৫.৬৫। অন্যদিকে, যদি আমরা স্পিনারদের কথা বলি, তাহলে স্পিনাররা ১২৮৩ ওভারে ৩৪.১৭ গড়ে এবং ৪.৯৫ ইকোনমিতে ১৮৬টি উইকেট নিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হার্দিক-সহ ৪ জন ফাস্ট বোলারকে দলে রাখতে পারে টিম ইন্ডিয়া। এর ফলে স্পিনারদের মধ্যে শুধুমাত্র জাদেজা ও কুলদীপ খেলার সুযোগ পাবেন এবং অক্ষর প্যাটেলকে বেঞ্চে বসতে হতে পারে।
কলম্বোতে স্পিনার ও পেসাররা সমান সহায়তা পান
কলম্বোর মাটিতে ফাস্ট বোলার ও স্পিনারদের পরিসংখ্যান প্রায় একই রকম। এই মাটিতে ফাস্ট বোলাররা ১৩৮ ম্যাচে ৯৫৪টি উইকেট নিয়েছেন। আর স্পিনাররা ৮০৯টি উইকেট নিয়েছেন।
এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের সম্ভাব্য প্লেয়িং-১১: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরা।