রবিবার ফাইনালে ফের ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) লড়াই। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেলেন সলমন আগারা। ২০১১--র পর ফের মাত্র ১৩৫ রান তাড়া করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রানে জিতল পাকিস্তান। স্পিনারদের পাশাপাশি এই ম্যাচের তারকা শাহিন শাহ আফ্রিদি। শুরু থেকেই উইকেট তুলে বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়ান তিনি।
পাকিস্তানের ইনিংস
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মহম্মদ হ্যারিস ২৩ বলে ৩১ রান করেন, সেটাই পাক ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। মহম্মদ নওয়াজ ১৫ বলে ২৫ রান করেন, যার মধ্যে দুটি ছক্কা ও একটি চার ছিল।
সালমান আলী আগা (১৯ রান), শাহীন আফ্রিদি (১৯ রান) এবং ফখর জামান (১৩ রান) দুই অঙ্কে পৌঁছান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নেন ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। তিনি একাই নেন তিনটি উইকেট। স্পিন বোলার রিশাদ হোসেন এবং মেহেদী হাসানও দুটি করে উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর রহমান নেন একটি উইকেট।
বাংলাদেশের ইনিংস
১৩৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শাহিন শাহ আফ্রিদি ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। পারভেজ হোসেন ইমন, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেনকে আউট করেন। অন্যদিকে আরেক পেসার হ্যারিস রাউফও নেন ৩ উইকেট। ১১ রানে হারতে হয় বাংলাদেশকে। রবিবারে ফের মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান।
বাংলাদেশ প্লেয়িং ইলেভেন: সাইফ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক/অধিনায়ক), নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তানের একাদশ: সাহেবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), হোসেন তালাত, মহম্মদ হ্যারিস (উইকেটরক্ষক), মহম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং আবরার আহমেদ।