Bangladesh Cricket Board Controversy: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (BPL) চলতি মরশুমে চলছে বিশৃঙ্খলা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দল দুর্বার রাজশাহী তার খেলোয়াড়দের বকেয়া বেতন দিতে পারেনি। এ কারণে কয়েকদিন আগে খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করেছিলেন। ফ্র্যাঞ্চাইজি তখন আশ্বাস দেয় যে সমস্যাটি সমাধান করা হবে। কিন্তু খেলোয়াড়রা এখনও বকেয়া বেতন পাননি। দুর্বার রাজশাহীর শফিক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর এ খবর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। শফিক বলেছিলেন, বিদেশি খেলোয়াড়দের দেশে ফেরার জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাস চালক এই পদক্ষেপ নিলেন, চিন্তিত খেলোয়াড়রা
যদি দেখা যায়, বেতনের বিষয়টি এখন নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বকেয়া পরিশোধ না করায় দরবার রাজশাহী দলের খেলোয়াড়দের কিট ব্যাগ নিজের কাছেই আটকে রেখেছিলেন বাস চালক। এমন পরিস্থিতিতে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের লাগেজও আটকে যায়। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত কিটের ব্যাগ ফেরত দেবেন না বলে জানান বাসচালক।
বাসচালক মহম্মদ বাবুল ক্রিকবাজকে বলেন, 'এটা দুঃখের ও লজ্জার বিষয়। তারা আমাদের টাকা দিলে আমরা খেলোয়াড়দের কিট ব্যাগ ফেরত দিতাম। এখন পর্যন্ত আমি মুখ খুলিনি। কিন্তু এখন বলছি তারা টাকা দিলে আমরা মালামাল ফেরত দেব।
অর্থ পরিশোধের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় দরবার রাজশাহী দলে অন্তর্ভুক্ত বিদেশি খেলোয়াড়রা ঢাকার হোটেলে আটকে রয়েছেন। মোহাম্মদ হারিস (পাকিস্তান), আফতাব আলম (আফগানিস্তান), মার্ক দয়াল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রায়ান বার্ল (জিম্বাবুয়ে) এবং মিগুয়েল কামিন্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) তাদের বেতন পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিছু খেলোয়াড় বকেয়া বেতনের এক-চতুর্থাংশ পেয়েছেন, কিন্তু বাকিগুলো পরিশোধ করা হয়নি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ২০২৪-২৫-এ দরবার রাজশাহীর খারাপ পারফরম্যান্স ছিল এবং টুর্নামেন্টের বাইরে রয়েছে।
দরবার রাজশাহী ১২টি ম্যাচের মধ্যে ৬টি জিতে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে। বিপিএলের চলতি আসরেও উঠে এসেছে ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্ক। এ জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থা গঠন করেছে, যা পুরো বিষয়টিতে এন্ট্রি করাপশন ইউনিটকে (ACU) সহায়তা করবে। বেনামী টিপস এবং মিডিয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট, ম্যাচ ফিক্সিং বা স্পট-ফিক্সিং সন্দেহজনক আটটি ম্যাচ চিহ্নিত করেছে।