Advertisement

এশিয়া কাপের আগে চাপে BCCI, স্পন্সর ছাড়াই খেলতে হবে সূর্যকুমারদের?

এশিয়া কাপের আগে চাপে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ এই টুর্নামেন্টে তাদের স্পন্সর ছাড়াই নামতে হবে। কারণ বিসিসিআই-এর মূল স্পন্সর ড্রিম ইলেভেন। ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল’ পার্লামেটের দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে নিষিদ্ধ হতে বসেছে ড্রিম ১১, মাই ১১ সার্কেলের মতো ফ্যান্টাসি অ্যাপগুলি।

টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Aug 2025,
  • अपडेटेड 4:42 PM IST

এশিয়া কাপের আগে চাপে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ এই টুর্নামেন্টে তাদের স্পন্সর ছাড়াই নামতে হবে। কারণ বিসিসিআই-এর মূল স্পন্সর ড্রিম ইলেভেন। ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল’ পার্লামেটের দুই কক্ষেই পাশ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে নিষিদ্ধ হতে বসেছে ড্রিম ১১, মাই ১১ সার্কেলের মতো ফ্যান্টাসি অ্যাপগুলি।

ঝুঁকির কারণে বন্ধ এই অ্যাপগুলি

অনলাইন এই সমস্ত গেম গুলোতে টাকা পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝুঁকি থাকে। অনলাইনে গেমে বিপুল লেনদেন, প্রতারণা এবং আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে নয়া বিল এনেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’ নামের বিলটি ইতিমধ্যেই সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে গিয়েছে। 

কেন্দ্রের নতুন আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওরকম অনলাইন অ্যাপে রোজগার করা টাকা, বা ওই ধরনের কোনও অ্যাপে টাকা বিনিয়োগ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে করা যাবে না। অর্থাৎ অস্বীকৃত অ্যাপে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে না। রিয়াল মানি অ্যাপ পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই এর আওতায় আসছে ড্রিম ইলেভেনের মতো ফ্যান্টাসি অ্যাপও।

কত টাকা ক্ষতি হতে পারে?

আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের চুক্তি রয়েছে ড্রিম ইলেভেনের। প্রধান স্পনসর হিসাবে তিন বছরে ৩৫৮ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। ভারতের পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেট দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব ১৯ দলের জার্সিতেও থাকে ড্রিম ১১-এর লোগো। অন্যদিকে মাই ১১ সার্কেল অ্যাসোসিয়েট স্পনসর হিসাবে পাঁচ বছরের জন্য বিসিসিআইয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তবে এই দুই সংস্থা এবার বেআইনি হতে চলেছে। ফলে ভারতীয় দলের জার্সি থেকে সরে যাবে এই দুই সংস্থার নাম। এশিয়া কাপের আগে যদি নতুন স্পনসর না পায় বোর্ড, তাহলে টুর্নামেন্টে শুভমান গিলদের জার্সিতে কোনও স্পনসরের নাম থাকবে না। তবে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নতুন স্পনসর পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ফেলেছে বিসিসিআই।  

Advertisement

কী জানিয়েছে সংস্থাগুলি?
মোবাইল প্রিমিয়াম লিগ (MPL) দেশের সবথেকে বড় গেমিং প্ল্যাটফর্ম। টাকা সংক্রান্ত সমস্ত গেমিং পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। তারা লিঙ্কডইন পোস্টে জানিয়েছে, আইন মেনেই চলবে তারা। এমপিএল জানিয়েছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে নতুন ডিপোজিট আর নেওয়া হবে না। যাদের এমপিএল অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা ছিল, তারা সেই টাকা তুলে নিতে পারবেন। এমপিএল প্ল্যাটফর্ম থাকলেও, এতে অনলাইনে টাকা বিনিয়োগ করে যে গেমগুলি খেলা হত, তা আর পাওয়া যাবে না।  এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা জুড়ে ১২০ মিলিয়নেরও বেশি রেজিস্টার্ড ইউজার রয়েছে।

এমপিএলের মতো জুপি (Zupee)-ও তাদের সমস্ত পেইড গেম বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই প্ল্যাটফর্মে এখন লুডো সুপ্রিম, লুডো টার্বো, স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার, ট্রাম্প কার্ড ম্যানিয়ার মতো গেমগুলি নিখরচায় খেলা যাবে। জ়ুপি-তেও ১৫০ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement