পহেলগাঁও হামলার পর এই প্রথম ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি হচ্ছে চিরশত্রু ভারত ও পাকিস্তান। রবিবার দুই দেশের মহারণ। তার আগে ম্যাচ ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট কতটা যুক্তিযুক্তি? কাঠগড়ায় বিসিসিআই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাচ বয়কটের দাবিও উঠেছে। এই গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
আজতককে বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া জানান, 'বিসিসিআই সচিব হিসেবে আমি আগামিকালের ম্যাচের জন্য দলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা আত্মবিশ্বাসী, ক্রিকেটাররা জয়ের জন্য পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামবেন। যথোচিত জবাব দেবেন তাঁরা'। বিসিসিআই ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে,আন্তর্জাতিক ম্যাচ বাতিল করা সম্ভব নয়। সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন দেবজিৎও। তাঁর বক্তব্য,' ভারতকে এমন দেশের সঙ্গে খেলতে হতে পারে যাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক নেই। ভারত সরকারের নীতি মেনেই বহুদলীয় টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করি। ম্যাচ না খেলার কথা বলতে পারি না'।
অন্যদিকে, প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানান,'এসিসি (ACC) বা আইসিসির (ICC) মতো টুর্নামেন্ট থাকলে অংশ নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। নইলে টুর্নামেন্ট ছেড়ে যেতে হবে অথবা ম্যাচ থেকে পয়েন্ট খোয়াতে হবে। অন্য দল পয়েন্ট পেয়ে যাবে। পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ধরনের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত। আমরা বহু বছর আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যতক্ষণ না পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করে, আমরা দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট খেলব না'।
এই ম্যাচ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত বিরোধীরা। একাধিক জায়গায় কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে সমালোচনা।
এপ্রিলে পাহেলগাঁও হামলায় নিহত শুভম দ্বিবেদির স্ত্রী ঐশ্বন্যা মন্তব্য করেছেন,'বিসিসিআইয়ের কাছে দেশের প্রতি আবেগের কোনও মূল্য নেই। অপারেশন সিঁদুরে সেনার আত্মত্যাগেরও কোন গুরুত্ব নেই। পাকিস্তান অর্থ উপার্জন হবে। আর সেই অর্থই আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগাবে'।