ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদে আবেদন করার সময়সীমা সোমবার শেষ হয়েছে। কিন্তু বিসিসিআই এবং তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকা গৌতম গম্ভীর এখনও পর্যন্ত কিছুই জানায়নি। রবিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে তাদের তৃতীয় আইপিএল ট্রফি জিতেছে। ওই দলের মেন্টর হলেন গম্ভীর। তারপর থেকেই ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য গম্ভীরের নাম জোরাল হচ্ছে। আর এটাই স্বাভাবিক। যদিও এই বিষয়ে বিসিসিআই ও বা গম্ভীর অন রেকর্ডে কিছু বলেনি।
একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে যে কোনও উল্লেখযোগ্য বিদেশি নাম ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেননি। বিশেষ করে বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ স্পষ্ট করে দেওয়ার পরে যে বোর্ড এমন কাউকে দেখছে যিনি পদমর্যাদার মাধ্যমে উঠে এসেছেন এবং ঘরোয়া কাঠামো জানেন। এটা বলা যেতেই পারে যে বিসিসিআই-এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভিভিএস লক্ষ্মণ, তিনি ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির প্রধান। কিন্তু স্টাইলিশ হায়দরাবাদি পুরো সময় দিতে পারবেন না বলেি মনে হচ্ছে। কারণ ভারতীয় দলের কোচ হলে বছরে ১০ মাস দলের সঙ্গে থাকতে হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, 'সময়সীমা ঠিক আছে, কিন্তু বিসিসিআই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে আরও কিছু সময় নিতে আপত্তি করবে না। এই মুহূর্তে, দলটি জুন মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। এর পরে সিনিয়রদের বিশ্রাম দেওয়া হবে। শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়ে সফরে এনসিএ-ভিত্তিক সিনিয়র কোচরা দলের সঙ্গে যেতে পারেন, তাহলে এত তাড়াহুড়ো কী কারণে?' এছাড়াও, কেকেআর-র প্রধান মালিক শাহরুখ খানের সঙ্গে গম্ভীরের দারুণ সম্পর্ক। তাই প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনারের এই আইপিএল দল ছেড়ে যাওয়া সহজ নয়।
আরেকটি দিক রয়েছে, যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা দরকার। বর্তমানে নিউইয়র্কে থাকা সিনিয়র ভারতীয় খেলোয়াড়রা কি মনে করেন যে গম্ভীর সত্যিই রাহুল দ্রাবিড়ের বদলি হতে পারে কিনা।