
শুক্রবার থেকে ইডেনে শুরু হচ্ছে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট সিরিজ। তা নিয়ে সতর্ক পুলিশ। নিরাপত্তায় কোনও গলদ রাখতে চাইছেন না লালবাজারের কর্তারা। সোমবার দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে। তার জেরে সতর্কবার্তা জারি হয়েছিল কলকাতাতেও। তাই ইডেন টেস্টের প্রাক্কালে নিরাপত্তা আরও কঠোর করা হয়েছে।
ইডেন গার্ডেন্সের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সেখানে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। তার আগে বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, সেই বৈঠকে শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতে কী কী করণীয় তা নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মনোজ বর্মা নিজে জানান, 'পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। নিরাপত্তার যেন কোনও ত্রুটি না থাকে তা নিশ্চিত করা হবে। গতকাল ও আজ আমরা বৈঠক করেছি। ভেন্যু ও দলের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। কোনও সমস্য়া হবে না বলে আশা করছি।'
টিকিট কাটতে গিয়ে যেন কোনও গণ্ডগোল না হয়, সেজন্য়ও পুলিশের সতর্ক দৃষ্টি থাকবে বলে জানান কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ইতিমধ্যেই টিকিট কাউন্টারগুলোতে লম্বা লাইন দেখা গেছে। তা নিয়ে বর্মা বলেন, 'শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রোধ করতে সব টিকিট বিক্রির পয়েন্টে মোতায়েন করা পুলিশ সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। স্টেডিয়ামের চারপাশে টহলও জোরদার করা হয়েছে।'
কলকাতার এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের আওতাধীন। সেজন্য পুলিশের সঙ্গে সেনা আধিকারিকরাও এদিন মাঠ পরিদর্শন করেন।
কলকাতায় এমনিতেই বাংলাদেশের ও নেপালের নাগরিকদের যাতায়াত থাকে। শীতের সময় কাশ্মীর ও আফগানিস্তান থেকেও অনেক পোশাক বিক্রেতা শহরে ভিড় জমান, তাঁদের উপরও নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা পর্যালোচনার সময় কলকাতা পুলিশের এসটিএফের এসিপি সলোমন ভি নেসাকুমার জানিয়েছেন, যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি কলকাতাকে স্লিপার মডিউলের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারে, তা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে। একইসঙ্গে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় নাকা তল্লাশিও চালানো হবে।
এক আধিকারিক জানান, 'যেহেতু দিল্লিতে বিস্ফোরণে একটি গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে, তাই একই ধরণের নাশকতার চেষ্টা রোধ করার জন্য আমরা পার্ক করা এবং চলমান যানবাহনের উপর বিশেষ নজর রাখছি।'